বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগ করেছে, তা ভেঙে দিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি এগিয়ে যেতে পারব, তার জন্য প্রয়োজন কেবল জাতীয় ঐক্যের। রাজনীতিতে হতাশার জায়গা নেই।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের আয়োজনে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার চাই শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমরা যে কর্মসূচি দিয়েছি তা জনগণের জন্যই। আমরা এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই, যাতে করে শাসক দল পরাজিত হবে। আমরা যে বিজয় অর্জন করতে পারিনি, তা নয়। আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি। ২৮ অক্টোবর যখন সব ভেঙেচুরে দেওয়া হলো, তখন আমি বলেছিলাম যে কথা কম, কাজ বেশি। এটাকে সামনে রেখে এগিয়ে গেলেই সফলতা পাওয়া যাবে। আন্দোলন ছাড়া ঐক্য আসবে না। আমাদের এক দফা এক দাবিকে ধারণ করে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।

এ সময় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগকে জনগণ লাল কার্ড দেখিয়েছে। এখন বিএনপি নেতাদের ভূমিকা দেখানো প্রয়োজন। তারা বলে দিক জনগণ এখন কী করবে।

তিনি আরো বলেন, ৪২ এর দুর্ভিক্ষে মানুষ লতাপাতা ও কচুমুখী খেতো। এখন নরেন্দ্র মোদি সীমান্তে কচুমুখী পাঠিয়ে দুর্ভিক্ষ তরান্বিত করছেন। বাংলাদেশকে গিলে ফেলেছে ভারত। ফখরুদ্দিন, মইনুদ্দিন সরকার ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করেছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার কিংবা তাদের দেশি বিদেশি মদদদাতাদের কারোরই সাথেও আপোষের সুযোগ নেই, দেশের ভুরাজনৈতিক গুরুত্ব মাথায় রেখে পরবর্তী আন্দোলনের কৌশল ও পলিসি নির্ধারণ করতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ।

বার্তা বাজার/আইএফ