বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা চিনি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। ছোলা মানভেদে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা থেকে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে ছোট মসুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা ও ১০ টাকা বেড়ে বুটের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগি।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

এ দিকে সবজির মৌসুমেও দাম উর্ধ্বমুখী, কাচাঁমরিচের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, টমেটো ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ৫ টাকা কমে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি।

সবজি ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম উঠানামা করে। দুই দিনের ব্যবধানের প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। সামনে রমজান তখন হয়তো বেগুন, আলু, শসা, গাজর ও টমেটোর দাম বাড়বে।

ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা। ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের মাছ।

ভাটারা মতিন স্টোরের ম্যানেজার আল ইসলাম আলী বলেন, রোজা আসার আগেই ছোলা, চিনি ও ডালের দাম বেড়ে গেলো। আর শবে বরাত আসছে বলে বুটের ডালের দাম বেড়েছে। আমরা খুচরা বিক্রেতা, আমাদের কি আর কারার আছে? দাম বেশি থাকলে আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। রমজানে প্রায় প্রতিটি নিত্যপণের দাম বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

খিলক্ষেতের বাজার করতে আসা বশির উদ্দিন বলেন, একটা পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমে না। সামনে শবে বরাত তারপর রমজান। সরকারের উচিত নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা।

বার্তা বাজার/আইএফ