নোয়াখালী হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপে টেকশয় বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে এক কোটি ২৬ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিঝুমদ্বীপ নামার বাজারে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই চেক বিতরণ উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আলহাজ মোহাম্মদ আলী।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউছুফ এর সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ আয়েশা ফেরদাউস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কেফায়েত উল্যা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী, এম আলী কর্পোরেশনের সত্বাধিকারী আশিক আলী অমি, নিঝুমদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন, জাহাজমারা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ও উপকারভোগী পরিবারের সদস্যসহ সহশ্রাধিক স্থানীয় জনগন।
বনের পাশে বসবাস করা মানুষের বনের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করার লক্ষ্যে “টেকশয় বন ও জীবিকা” ( সুফল) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এই প্রকল্পের অধিনে হাতিয়াতে ২৯ টি গ্রাম সংরক্ষন ফোরাম গঠন করা হয়েছে। যার সদস্য সংখ্যা ২হাজার। এর মধ্যে নিঝুমদ্বীপে রয়েছে ১১টি ফোরাম । এই ১১টি ফোরামের ৫শত সদস্যকে ২৫ হাজার ২শত টাকা করে এক কোটি ২৬ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ মোহাম্মদ আলী বলেন, মানুষ দারিদ্রতার কারনে বনের মধ্যে প্রবেশ করে গাছ কাটা সহ বনের ক্ষতি হয় এধরনের কাজে জড়িত হয়। বনবিভাগ তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যা বন রক্ষায় অগ্রনী ভ’মিকা পালন করবে। সাথে সাথে মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউছুফ বলেন, এই টাকা উপকারভোগীদের জীবিকা উন্নয়ন তহবিল হিসাবে দেওয়া হয়। যা প্রতিটি ফোরাম রক্ষানা বেক্ষন করবেন। যার জন্য সরকারকে কোন সুধ বা লভ্যাংশ দেওয়া লাগবেনা। ফোরামের সদস্যরা তাদের জীবিকা উন্নয়নে এই অর্থ ব্যবহার করবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে তারা আবার ফোরামের কাছে এই টাকা ফেরত দিবেন। পরে অন্য কোন সদস্য নির্দিষ্ট নিয়মে এই টাকা ব্যবহারের সূযোগ পাবে।
হাতিয়ার ২৯টি ফোরামের ২হাজার সদস্য এই সুবিধা পাবেন। বনের পাশে বসবাস করা হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন এই ফোরামের সদস্য। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নে এই চেক বিতরণ করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে প্রতিজন সদস্য ৪২ হাজার টাকা করে পাবেন। এই টাকা দিয়ে তারা হাঁস মূরগী পালন, গবাধি পশু পালন ও মাছ চাষে ব্যবহার করে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির সূযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে তাদেরকে প্রত্যেকের নিজ নিজ পেশার উপর প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে।