পটুয়াখালীতে দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভূমিদস্যুদের হাত থেকে প্রায় ১০ একর ওয়াকফা জমি উদ্ধার করেছে মোতয়াল্লী ডলি বেগম। ১৮ ফেব্রুয়ারী রবিবার দুপুরে পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ওয়াকফা পরিদর্শক লুৎফর রহমান এবং পুলিশের সহযোগিতায় মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বিরাজলা গ্রামে এ জমি উদ্ধার করা হয়।

জানাগেছে, মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের বিরাজলা গ্রামের বাবু খান ১৯২৬ সালে প্রায় ১০ একর জমি ওয়াকফা করেন। যার মোতয়াল্লী করেন তার ছেলে শের আলী খানকে। পরে শের আলী খান মারা যাওয়ার পর মোতয়াল্লী হন তারই মেয়ে ডলি আক্তার। এদিকে সেই ওয়াকফা জমি একই এলাকার মন্নান গাজী ও ফকু হাওলাদারের পরিবার গায়ের জোরে জবরদখল করে রাখেন। পরে মন্নান গাজী ঐ জমির মালিক দাবি করে ওয়াকফা প্রশাসকের কাছে জমি পেতে আবেদন করে। কিন্তুু ১৯৮৪ সালের ৬ নভেম্বর মন্নান গাজীর সেই আবেদন না মজ্ঞুর করে ওয়াকফা প্রশাসক মোতয়াল্লীর মাধ্যমে সম্পত্তি পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।

পরে ২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল আবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে মন্নান গাজী বিজ্ঞ জেলা জজ পটুয়াখালী আদালতে ওয়াকফা প্রশাসকের রায়ের বিরুদ্ধে মোকাদ্দমা দায়ের করেন এবং সেই মোকদ্দমাটি আদালত খারিজ করে দেন। এছাড়া বিজ্ঞ জেলা জজ পটুয়াখালী আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করেন। পরে ২০২৩ সালের ১৩ জুন সেই আবেদন ও খারিজ করেন।

পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলার ওয়াকফা পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ওয়াকফা জমি বিক্রি করা যায় না শুধু ভোগদখল করা যায়। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ওয়াকফা জমির মোতয়াল্লী মোসাঃ ডলি আক্তারকে তার জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে বাবু খানের ওয়াকফা করা জমির মোতয়াল্লী ডলি আক্তার বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পরে আমি এবং আমার ছোট ভাই বোনদের নিয়ে খুব কস্টে দিন পার করছি তবুও মন্নান গাজী ও ফকু হাওলাদার আমাদের জমিতে যেতে দেয়নি। বিভিন্ন সময় আমাদের মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছি। তবে ওয়াকফা প্রশাসক ও পুলিশের সহায়তায় আমাদের জমি এখন ভোগদখলে যেতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।