কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে উদ্দেশ্য করে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেছেন, একজন এমপির মুখে এ ধরনের উগ্র কথা মানায় না। মানুষ এটাকে সহজভাবে নেয় না। তিনি (এমপি বাহার) অতীতে বলেছেন, এখনও বলছেন। আমার দোষ বলতে গিয়ে নিজের দোষ উঠার ব্যবস্থা হয়েছে উনার। আমি তো এবার ছাড় দিবো না। গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মনিরুল হক সাক্কু এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র ও বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল হক সাক্কু বলেন, গত সিটি নির্বাচনে তারা প্রতিটা বক্তৃতাতে, সে সময় রিফাত ভাইসহ (প্রয়াত মেয়র আরফানুল হক রিফাত) বলেছেন- ‘আমি এক হাজার কোটি টাকা চুরি করছি, শ্বেপত্র প্রকাশ করবো, তারা আমার জন্য জেলখানায় নতুন রুম বানাইছে’- এ ধরনের কিছু কথা বলছে। এখন দেড় বছর চলে গেছে, তারা পারছে না কেন, তা জানি না। এখনো তারা অনেক কিছু বলে। মুখে দিয়ে যা আসে বলে। অতীতে বলছে, এখনো মুখে দিয়ে যা আসে বলে। একজন মাননীয় এমপির এইভাবে কথা বলা ঠিক না। উনি একজন এমপি। সাধারণ জনগণের কথা এবং উনার কথার মধ্যে বেশকম থাকতে হবে। উনি একজন আইনপ্রণেতা, তিনি যদি এইসব উগ্র কথাবার্তা বলেন, এটা ঠিক না। মানুষ এটাকে সহজভাবে নেয় না। প্রধানমন্ত্রীর কথা আর একজন মন্ত্রীর কথা এক না। তেমনি একজন এমপি ও সাধারণ মানুষের কথাও এক না। উনি কেনো এগুলো করে আমি জানি না।

এমপি বাহারকে ইঙ্গিত করে সাক্কু বলেন, কিছুদিন আগে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় যা-তা লিখিয়ে দিয়েছেন। পেপারে উঠানো আর মামলা এক জিনিস না। আমার কাছে ডকুমেন্টস্ আছে, উনার কাছে চারবার গেছে। একজন সাংবাদিকের কাছে একজন এমপি চারবার গেলে উনি বাধ্য হয়ে নিউজ করতে হয়। এছাড়াও তিনি এনবিআরের কাছে গেছে, দুদকে গেছে, আমার যে মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকারে গেছে। ব্যক্তিগতভাবে উনি চিঠি দিয়েছে। এটা তিনি দিতে পারেন না। তিনি আবেদন করতে পারেন।

আবেদন করলে তদন্ত করবে, আমি অভিযুক্ত হলে আদালতে যাবো, সাজা পাইলে পাবো, না-হয় খালাস পাবো, এটাই তো নিয়ম। এখন উনি যে ধরনের উগ্র কথাবার্তা বলেন, এটা ঠিক না। আমি সাক্কু আঙ্গুলের ফাঁক দিয়া কুমিল্লায় জন্ম হইছি না। আমরাও এই কুমিল্লায় ক্ষমতা কি জিনিস দেখছি। আমার ভাই এই সিটে ৫বার এমপি ছিলেন, তিনবার মন্ত্রী ছিলেন। আমার বাবা এমএলএ ছিলেন। ক্ষমতা তিনি আমার চেয়ে বেশি দেখেন নাই। ক্ষমতা যে ক্ষণিকের, এটা তিনি ভুলে গেছেন।

সাক্কু বলেন, আমি আশা করি উনি ভদ্রলোক, বয়স আমার চেয়ে ১৫- ১৬ বছরের বেশি হবে। উনার মেয়ে দাঁড়াইছে, উনি মানুষের কাছে যাক, রেসপন্স করুক। কী করবে, না করবে- তা বলুক। আরেকজনের জন্য বলতে গেলে তো নিজের কথা উঠে যাবে, বহু কথা উঠে যাবে। কেউ আর ছাড় দিবে না। আমার দোষ বলতে গিয়ে নিজের দোষ উঠার ব্যবস্থা হয়েছে উনার। আমি তো এবার ছাড় দিবো না।