মাদারীপুরের রাজৈরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মামা বাড়িতে ভাগ্নের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে মামির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার আমগ্রাম উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ঝর্ণা মন্ডল(৪৫) একই গ্রামের উপেন মন্ডলের স্ত্রী। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ বাড়ৈ আমগ্রাম উত্তরপাড়া গ্রামের বিরেন বাড়ৈর ছেলে ও উপেন মন্ডলের ভাগ্নে। বিশ্বজিৎ ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতের স্বামী উপজেলার আমগ্রাম উত্তরপাড়ার উপেন মন্ডল তার ভগ্নিপতি (ছোট বোন জামাই) একই এলাকার বিরেন বাড়ৈর কাছে ২ লক্ষ টাকা পাবে। এই পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে টাকার জন্য জোর চাপ প্রয়োগ করে উপেন। এরই জের ধরে শনিবার রাতে বিরেনের ছেলে বিশ্বজিৎ তার দলবল নিয়ে মামা উপেন মন্ডলের বসতবাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় আতঙ্কে ওই গৃহবধূ (উপেন মন্ডলের স্ত্রী) আহত হয়ে পড়ে। পরে রবিবার সকালে তাকে গুরুতর অবস্থায় রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ও নিহতের স্বামী উপেন মন্ডল জানান, পাওনা টাকা চাওয়ায় বিরেন বাড়ৈ ও আকাশ মজুমদারসহ অজ্ঞাত কয়েকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে আমার স্ত্রী মারা গেছে। আমি এই ঘটনায় বিরেন ও তার ফায়ার সার্ভিসে চাকারজীবী ছেলে বিশ্বজিৎ এর কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

এ ব্যাপারে কথা বলতে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ বাড়ৈর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

রাজৈর থানার ওসি আসাদুজ্জামান হাওলাদার আসাদ জানান, এ বিষয়টি ভাই বোনের একটি ঘটনা। টাকা চাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাতে তার (উপেন) বোনের ছেলে বাড়িতে ইটপাটকেল মারে, সকালে তিনি (ঝর্ণা) স্ট্রোক করে মারা যান। কিন্তু নিহতের পরিবারের দাবি রাতে হুমকি ধামকি দেয়ার কারণে তিনি মারা গেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই