ভ্যালেনটাইনস ডে আসতে এখনও কয়েক দিন বাকি। চলছে ভ্যালেন্টাইনস উইক, অর্থাৎ প্রেমের সপ্তাহ। এই বিশেষ সপ্তাহের চতুর্থ দিন টেডি ডে। আর এই বিশেষ দিনে প্রিয়জনকে টেডি উপহার দেওয়ার রীতি আছে।

একেই ভালবাসার সপ্তাহ। তার উপর একেকদিন পালন করা হয় একেকটি বিশেষ আবহ। টেডি ডে’ও তেমনই এক বিশেষ আবহ। তবে এই দিবস কেন পালিত হয়, তা কি জানেন?

ভালোবাসার প্রকাশ নানাভাবেই হয়। ভালোবাসার পাশাপাশি প্রেম, আদর ও যত্নের প্রতীক হয়ে থাকে টেডি। তবে টেডি উপহার হিসেবে কেন এত বিখ্যাত? কবে থেকেই বা টেডি দেওয়ার রীতি শুরু হলো?

টেডি ডে’র সঙ্গে অনেকটাই জড়িয়ে আছে টেডির গল্প। টেডি উপহার হিসেবে খুব বেশি দিন বিখ্যাত হয়নি। গত শতক থেকে এটি উপহার হিসেবে জনপ্রিয় হয়। কিন্তু তার পেছনে আছে এক গল্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেই গল্পের নায়ক।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ শতকের গোড়ার দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট একবার শিকারে যান। শিকারের সময় একটি ভাল্লুককে দেখে তার মত বদলে ফেলেন।

ভাল্লুকটিকে ছেড়ে দেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। থিওডোরের এই ঘটনার কথা সঙ্গে সঙ্গে রটে যায়। তার এই মানবিক গুণ কার্টুনে ফুটিয়ে তোলেন ক্লিফোর্ড বেরিম্যান। কার্টুনে দেখা যায় একটা মিষ্টি ভাল্লুককে।

কার্টুনটি জনপ্রিয় হয়েছিল। একই সঙ্গে সেই ভাল্লুকটিই জনপ্রিয় হয়ে যায়। এর পর মরিস মিকটোম ওই কার্টুন ভাল্লুকের আকারে একটী খেলনা পুতুল তৈরি করেন। যেটি টেডি হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

শুরু থেকেই টেডি জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিল। শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর সঙ্গে জড়িত থাকায় সহজে জনপ্রিয়তা পায় ভাল্লুক। এর পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে টেডি জনপ্রিয় উপহার হয়ে ওঠে।

টেডির চেহারার মধ্যে আছে এক নিষ্পাপ আদুরে ভাব। যে কারণে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জায়গা করে নিল উপহার। কিশোরী, তরুণীদের মধ্যে টেডি প্রেম অচিরে বাড়তে থাকে।

আর সেই থেকে প্রেমের একটি মিষ্টি উপহার টেডি। টেডি ডে’র সেই উপহারের জন্য বরাদ্দ একটি দিন। এদিন চাইলে সঙ্গী রং-বেরঙের টেডি উপহার দিতে পারেন।

বার্তা বাজার/জে আই