কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নাসির গ্রুপের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ৩ দিনের এক ছেলে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে গত বুধবার দুপুরে। এঘটনার পর নবজাতক উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশের একাধিক দল, তবে এখন পর্যন্ত নবজাতটিকে উদ্ধার করতে পানেনি পুলিশ হয়নি মামলাও। এদিকে বাচ্চা প্রসবের ব্যাথা নিয়ে শূন্য হাতে অশ্রু চোখে হাসপাতালের বেডে অবস্থান করছে অসহায় মা।

উপজেলার আল্লার দর্গা এলাকায় নাসির গ্রুপের আনোয়ারা বিশ্বাস মা ও শিশু হাসপাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত কাল দুপুরে মহিলা ওয়াডের সামনে নানী রহিমন নেছার কোল থেকে ও নবজাতকে আদর করার কথা বলে কোলে তুলে নেন বোরকা পরিহিত লাল সোয়েটার গায়ে এক নারী পরে শিশুটির নানী পানি আনতে গেলে চক্ষু আড়ালে নবজাতকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায় তিনি ।

হাসপাতালটির সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায় দুপুর ১২ টার দিকে ওই নারী হাসপাতালে প্রবেশ করে ১ টা ৪১ মিনিটে নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে বের হয়ে যায়।

এবিষয়ে নবজাতকের মা সাফিয়া খাতুন বলেন, গত ৫ তারিখে আমার সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একটি ছেলে শিশু জন্ম হয়। বিয়ের পর এটাই আমার প্রথম বাচ্চা। আমার মায়ের কোল থেকে বাচ্চাকে আদর করার কথা বলে নিয়ে যায় ওই নারী। আমার স্বামী স্থানীয় একটি বিড়ি তৈরি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। বছর দু-এক আগে ভেড়ামারা উপজেলার ধবমপুর ইউনিয়নের মহিষাড়োরা এলাকার নিহারুল হোনের ছেলে দিপুর সাথে আমার বিয়ে হয়।

সন্তান হারিয়ে হাসপাতালে বেডে বসে অশ্রু চোছে এসব কথার বর্ননা আজকের পত্রিকাকে দিচ্ছিলেন ১৬ বছর বয়সী সাফিয়া ( নবজাতকটির মা)।

এ বিষয়ে হাসপাতালের মেনেজার আব্দুর রাজ্জাক জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা আছে এখন নবজাতকের পরিবারের লোকের কাছ থেকে নবজাতকে কোলে নিয়ে চলে গেলে এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছু করার নাই। শুক্রবারে হাসপাতাল থেকে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনও কেউ মামলা করতে আসেনি। নবজাতকটিকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে।

বার্ত বাজার/জে আই