মিয়ানমারে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সাথে দেশটির স্বশস্ত্রবাহিনীর চলমান সংঘাতে বাংলাদেশ সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। মিয়ানমারের ছোঁড়া গুলি ও মটারশেলের আঘাতে নারী সহ দুই জন নিহত ও গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধ ডজন নারী-পুরুষ।
বিদ্রোহীদের আক্রমণে টিকতে না পেরে সর্বশেষ বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে আহত অবস্থায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের ৯৫ জন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য। আক্রমণ শুরুর পর থেকে জান্তা সরকার সেনা টহলচৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ সকাল ৯টায় মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টারশেল আঘাত হেনেছে ঘুমধুম বেতবুনিয়া বাজার সংলগ্ন ছৈয়দ নুর সিকদারের বসতবাড়িতে। বেউ আহত না হলেও ভেঙে গেছে জানালার কাচের আয়না, ফাটল ধরেছে বাড়ির দেওয়ালে।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একই সঙ্গে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম।
সোমবার বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে সীমান্তের উত্তপ্ত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৯৫ জন সদস্যকে নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিজিবি সদর দফতর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত এলে আমরা তাদের ফেরত পাঠাবো।
তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের কোনো নাগরিক বা রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারেনি। চলমান সংঘাতে নতুন করে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বার্তা বাজার/জে আই