রংপুর জেলার মিঠাপুকুরে মাদকের ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলছে। ফেনসিডিল গাঁজাও ইয়াবায় আসক্ত হচ্ছে স্কুল-কলেজের তরুণরা। বৃদ্ধ, মধ্য বয়সী ও উঠতি বয়সের যুবকরা জড়িয়ে আছে মাদকের ভয়াবহ জালে। উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে এমনি ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে, প্রতিনিয়ত যেমন বেড়েই চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। তেমনি প্রকাশ্যে চলছে গাঁজা, ইয়াবা ও চোলাইমদ সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বেচাকেনা। সম্প্রতি ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের ৯ জন গ্রাম পুলিশ ও ১ জন দফাদার মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরী করেন। তালিকায় গাঁজা ব্যাবসায়ী রয়েছেন ১৬ জন, চোলাই মদ ১০ জন ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ৩ জন।

এসব মাদক ব্যবসায়ী গ্রামের যুবসমাজকে যেমন ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। একই ভাবে ইউনিয়নের আনাচেকানাচে এসব মাদক সহজলভ্য হওয়ায় ও সহজে হাতের নাগালে পাওয়া যাওয়ায় উঠতি বয়সের ছেলেরা হাতে তুলে নিচ্ছেন এসব মাদকদ্রব্য। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সচেতন অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রাম পুলিশ বলেন, ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ৫ জন। তারা হলেন- মতিয়ার রহমান গাজা ব্যবসায়ী, ওহেদুল মিয়া গাজা ব্যবসায়ী, সুনীল চোলাই মদ, আলআমিন গাজা ব্যবসায়ী, জেল্লা গাজা ব্যবসায়ী। ২ নং ওয়ার্ডের মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, রিপন মিয়া গাজা ব্যবসায়ী, বাদশা মিয়া গাঁজা ব্যবসায়ী, এজাজুল গাজা ব্যবসায়ী, মোস্তফা গাজা ব্যবসায়ী, দুলাল মিয়া ইয়াবা ব্যবসায়ী, সাগর মিয়া ইয়াবা ব্যবসায়ী। ৭ নং ওয়ার্ডের মাহবুবার রহমান ছাবু চোলাই মদ ব্যাবসায়ী, শফিকুল ইসলাম গাটু গাজা ব্যবসায়ী, আব্দুল লতিফ চোলাইমদ ব্যবসায়ী, নরেন চোলাইমদ ব্যবসায়ী, মতিন ওরফে ফাড়ি গাজা ব্যবসায়ী।

৮ নং ওয়ার্ডে মাজু মিয়া গাজা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী, নওশা গাজা ব্যবসায়ী, রফিজল বয়াতী গাজা ও চোলাইমদ ব্যবসায়ী, এসহাক গাজা ব্যবসায়ী, শফিকুল ইসলাম বুদা চোলাইমদ ব্যবসায়ী, নিমাই চন্দড় গাজা ব্যবসায়ী, ভুকু চন্দ্র গাজা ব্যবসায়ী।

৯ নং ওয়ার্ডের সুজন ওরফে ছোট গাজা ব্যবসায়ী, সুমন ওরফে ডানো গাজা ব্যবসায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের দেয়াল ঘেষে সতীশ চন্দ্র চোলাই মদ ব্যবসায়ী, মধু মিয়া বৈরাতী হাই স্কুলের পাশে চোলাইমদ ব্যাবসার রমরমা ব্যবসা করে আসছেন। স্থানীয় প্রশাসন এসব মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এই ইউনিয়নের দ্বায়িত্বে থাকা বৈরাতীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।