সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা মামলার আসামি রাজীব কুমার ভৌমিককে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যহৃত বিভিন্ন আলামাতও উদ্ধার করা হয়। আসামি রাজীব ও হত্যাকাণ্ডের শিকার বিকাশ চন্দ্র সরকার সম্পর্কে আপন মামা ভাগনে।
বুধবার বিকেল পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)।
পুলিশ তথ্যনুসারে জানা যায়, আসামি রাজীবের বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। বাবা মারা যাওয়ার পর মামা বিকাশ চন্দ্র সরকার তার পরিবারের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন। মামা কৃষি কাজের পাশাপাশি রাজীবকে নিয়ে খাদ্যশস্য কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। মামা বিকাশ ব্যবসার পুঁজি হিসেবে ভাগিনা রাজীবকে ২০ লক্ষ টাকা দেয়। পরে ব্যবসা চলাকালীন রাজীব প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা লভ্যাংশসহ মামাকে ফেরত দিলে চলতি বছরে মামা অতিরিক্ত আরও ৩৫ লক্ষ টাকা দাবি করে তাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। রাজীব টাকা ম্যানেজ করতে না পারায় মামা বিকাশ চন্দ্র সরকারসহ তার পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২৭/০১/২৪ তারিখে মামাকে ফোন করে টাকা দেয়ার কথা বলেন। মামা বাড়িতে না থাকায় মামা তার মামী সাথে দেখা করে বাড়িতে বসতে বলে। রাজীব মামার বাসায় এলে মামী তাকে দেখে কফি আনতে নিচে যায়। রাজীব এই সুযোগে মামাতো বোন তুষিকে হত্যা করে। পরে মামী বাসায় আসলে তাকেও হত্যা করে এবং সবশেষে মামা বাসায় ফিরলে রাজীব মামাকেউ হত্যা করে দরজার তালা লাগিয়ে চলে যায়।
এমন হত্যাকান্ডে আসামিকে ধরতে সংশ্লিষ্ট থানার সমন্বয়ে গঠিত বিশ সদস্যে একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় টানা অক্লান্ত অভিযানের মাধ্যমে আসামীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)।
উল্লখিত, গত ৩০-০১-২৪ তারিখে হত্যার শিকার বিকাশ চন্দ্র সরকার, স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার, ও মেয়ে তুষি রানী সরকারের সাথে আত্মীয় স্বজন কেউ যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ নিহতের বাড়িতে গিয়ে দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে তিনজনের লাশ দেখতে পায়।
এই ঘটনায় নিহতের আত্মীয় শ্রী সুকোমল সাহা থানায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেছেন।
বার্তাবাজার /এম আই