অবশেষে ঢাকার সাভারের ঐতিহাসিক কর্ণপাড়া খাল উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে সাভার উপজেলা প্রশাসন। অভিযান চলাকালে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদসহ কর্ণপাড়া মৌজায় খালের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের কর্ণপাড়া ব্রিজের নিচ দিয়ে প্রবাহিত দখল-দূষণে মৃতপ্রায় এই খালের বেদখলকৃত বিভিন্ন অংশ উদ্ধার এবং খালের সীমানা নির্ধারণে অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাভার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম রাসেল ইসলাম নূর।

মূলত দুইভাবে সাভার ও আশুলিয়ার খালগুলো মরে যাচ্ছে। প্রথমত: অবৈধ দখলদারদের জন্য এবং দ্বিতীয়ত কলকারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য সরাসরি খালে ফেলে দেয়ার কারণে। ধলেশ্বরী নদীর বাম দিকের পাড় কর্ণপাড়া খালের উৎসমুখ। প্রাচীন এই খালটির বিভিন্ন অংশের পাড় প্রভাবশালীরা দখল করে নেয়ায় এটাও প্রায় মরে গেছে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, কর্ণপাড়া ব্রিজের নিচ দিয়ে পশ্চিমে প্রবাহিত এই খালের মাঝে একটি দ্বিতল ভবন দখলদারিত্বের প্রকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তবে এই ভবনটি খালের জায়গায় পড়েছে কিনা এবিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।

এদিকে, বিখ্যাত বিল বাঘিলের বিল আর নেই। বর্তমানে সেটা খাল হয়ে কর্ণপাড়া খালের সাথে মিলিত হয়ে তুরাগ নদীর সাথে মিলেছে। ভূমি দস্যুরা বিল বাঘিলের বেশীরভাগই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। কর্ণপাড়া খালের বাম পাশে উলাইল এলাকা অঘোষিত শিল্পাঞ্চল ঘোষিত হওয়ায় এটা বর্তমানে এক ভয়ংকর এলাকা হিসেবে পরিগনিত হচ্ছে। এই শিল্প এলাকার সকল বর্জ্যই কর্ণপাড়া খালে পড়ছে বিনা বাধায় অথচ দেখার কেউ নেই।

অভিযান চলাকালে গণমাধ্যমকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রাসেল ইসলাম নূর বলেন, আজকের অভিযানে কর্ণপাড়া মৌজার মধ্যে কর্ণপাড়া খালের যে অংশ দখল করা হয়েছিল তা সীমানা নির্ধারণ করে উচ্ছেদ করা হয়েছে।এসময় বেশ কয়েকটি দোকান ও গোডাউন উচ্ছেদ করে খালের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে যেন খালের জায়গা অবৈধভাবে আর কেউ দখল করতে না পারে সেদিকে সাভার উপজেলা প্রশাসন বিশেষভাবে খেয়াল রাখবে।

উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাভার মডেল থানার পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

বার্তাবাজার/এম আই