নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এ পয়েন্টে মর্টারশেল এসে পড়ে ঘূমধুমের তুমব্রু পশ্চিমকূলে গ্রামে। সবদিক বিবেচনা করে সীমান্তের ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার অংশে বেশ কিছুদিন ধরে গোলাগুলি হচ্ছে। যাতে এ সীমান্তের শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে শিক্ষা কাযর্ক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে গত ২২ জানুয়ারি এবং ২৯ জানুয়ারি ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোমলমতি শিশুদের অভিভাবক মহলের আকুতি এবং শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়ে ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়।

স্কুল গুলো হলো ঘুমধুম, তুমব্রু, তুমব্রু পশ্চিমকুল,ভাজাবুনিয়া ও বাইশফাঁড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২৯ জানুয়ারি (সোমবার) বেলা ১১ টার দিকে ১ দিনের জন্য স্কুর বন্ধ দেয়া হয়।

বন্ধ হওয়া ভাজাবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছৈয়দুর রহমান হীরা বলেন, অবস্থা বেগতিক দেখে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে সোমবার ১১ টার পর তাদের স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়। এভাবে ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২ টি মাধ্যমিক ও কয়েকটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।

স্থানীয় সরওয়ার আলম,আলী আকবর ও ছৈয়দ আলম জানান,সোমবার (২৯ জানুয়ারি) ভোররাতে গোলাগুলি শুরু হয়। দুপুর নাগাদ থেমে চলে আসছিলো। আর তাও মর্টারশেল। যার কয়েকটির মধ্যে একটি পড়ে তুমব্রু পশ্চিম কূলের ছৈয়দ হোসেনের পুত্র বাহাদুর উল্লাহর বাড়িতে। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি মর্টারশেলে বাংলাদেশ অংশের ঝোপঁঝাড়ে পড়ার পর লোকজন ছুটাছুটি করতে থাকে নিরাপদ আশ্রয়ে।

ঘুমধূম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ২২ জানুয়ারির চাইতে আরো ভয়াবহ অবস্থা। মুলত তুমব্রু কোনার পাড়ার অদুরের টিলা থেকে বিদ্রোহী আরকান আর্মি তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে মিয়ানমার সেনা বাহিনীর ঘাঁটিতে মর্টারশেল নিক্ষেপ করছিলো। পক্ষান্তরে তারাও আরকান আর্মিকে। এভাবে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। যা থেকে মর্টারশেল এসে পড়ে তুমব্রুপশ্চিম কূলে।

এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ওপারে যাই হোক, এপারে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। এপারে লোকজন নিরাপদ আছে। আতঙ্কের কোন কারণ নেই।

বার্তাবাজার/এম আই