কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়নে ২০ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ের গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সৎ মায়ের উপর। ভুক্তভোগী গান্দাছি পূর্ব পাড়া নাছির উদ্দীনের মেয়ে মোসাঃ রাত্রি আক্তার, সে জন্মগতভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নাছির উদ্দীনের প্রথম স্ত্রী বিলকিস আক্তারের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়নের জামমুড়া গ্রামের সালমা আক্তারের সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহে আবদ্ধ হয়, নাছির উদ্দীন এর প্রথম সংসারের চার মেয়ের মধ্যে মোসাঃ রাত্রি নামে মেয়েটি জন্মগতভাবে মানসিক প্রতিবন্ধী হাওয়ায় , নাছির উদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রী মাসাঃ সালমা আক্তার তাকে পছন্দ করতেন না, বিয়ের পরপরই প্রতিবন্ধী মোসাঃ রাত্রি আক্তারের উপর নির্যাতন শুরু করে।

প্রতিবেশী হনিফ মজুমদার বলেন, আমরা নাছির উদ্দীনকে নির্যাতনের বিষয়ে অনেক বার অভিহিত করে আসছি কিন্তু নাছির উদ্দীন এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, কয়েক দিন আগে মোসাঃ সালমা আক্তার এই প্রতিবন্ধী মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়। প্রতিবন্ধী রাত্রি আক্তারের চিৎকার শুনে এলাকার লোক জন রাত্রি আক্তার কে উদ্ধার করে। গ্রামবাসীরা দাবি করে একটি প্রতিবন্ধীর মেয়ের উপর সৎ মায়ের নির্যাতন আমাদের গ্রামকে কলঙ্কিত করছে নাছির উদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোসাঃ সালমা আক্তার।

ভুক্তভোগী মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কারো কাছে কোন অভিযোগ করতে পারেনি। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই একটি মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ের উপর নির্যাতনকারীকে আইনের আওতায় আনা হোক।

বার্তা বাজার/জে আই