এখন সরিষার ক্ষেতগুলোতে হলুদের সমারোহ। ফুল ফুটেছে, আবার অনেক জায়গাতে ছোট ছোট সবুজ দানা ঝুলছে। এখান থেকে মধু সংগ্রহের এ মৌসুমকে কাজে লাগাতে ব্যাস্থ সময় পার করেন মৌ চাষিরা। তারা মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করে তাদের সংসার চালান।

কেউ বা উপার্জিত আয় দিয়ে সংসার খরচ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, ঋণ পরিশোধ, কিনেছেন জমি। মধু বিক্রি করে অনেকের ভাগ্য বদল করছেন তারা। এ ছাড়াও লিচু, কালো জিরা, আমের মুকুল, ধনিয়াসহ বিভিন্ন ফুল গাছ থেকেও মধু সংগ্রহ করা হয়।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আদিকাল থেকে মৌমাছি মানুষের নিকট অতি পরিচিত এক প্রকার ক্ষুদ্র, পরিশ্রমী ও উপকারী পতঙ্গ।

সদর উপজেলা কৃষি অফিস তথ্য সুত্রে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫ হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে এবার সরিষা চাষ হচ্ছে। বিভিন্ন মাঠে এসব ক্ষেতের পাসে ২১০০টি মৌবক্স স্থাপণ করা হয়েছে। মৌবক্স থেকে ৭০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মকন্দপুর গ্রামে মৌবক্স স্থাপনকারী রবিউল ইসলাম জানান, শরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ লাভজনক হওয়ায় এ পেশায় লোক বাড়ছে। এ সব খামারিকে আধুনিক পদ্ধতিতে মধু উৎপাদনের ওপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে প্রতিনিয়ত সাহায্য করছেন স্থানীয় কৃষি অফিস।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনির হোসেন জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় এবার ২১০০ মৌবক্স স্থাপণ করেছেন মৌচাষী। এ সব মৌচাষীদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি ।তাদের সাথে আমরা যোগাযোগ রাখছি এবং মৌচাষীদের আমি আমার মুঠোফনের নাম্বার দিয়েছি। সদর উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মধু উৎপাদন হবে।

বার্তাবাজার/এম আই