সেন্টমার্টিন অটো রিক্সা সমবায় সমিতির নামে প্রতি মাসে চলছে ৬ লাখ টাকা চাঁদাবাজি। চাঁদাবাজির বিষয়ে মুখখুললেই নেমে আসে নির্যাতন। নির্যাতন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ইতিপূর্বে ভাড়াটে মস্তানের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অটো মালিকদের অনেকেই।

মঙ্গলবার বিকেলে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি সালাহউদ্দীন এসব অভিযোগ করেন। এসময় ভূক্তভোগী অটোরিক্সা মালিক-শ্রমিকদের অনেকেই উপিস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দীন জানান, বিগত ২০২০ সালের দিকে সেন্টমার্টিন ভ্যান মালিক সমিতির নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্টা হয়। পরবর্তিতে ২০২১ সালের দিকে সংগঠনটি নিবন্ধন হয়। সংগঠনে সদস্য মাত্র ২১ জন হলেও অটোরিক্সা রয়েছে ৪ শতাধিক। এছাড়া দ্বীপে আটোরিক্সা চালাতে গেলে সমিতিতে ভর্তি বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু কোন মালিককে লিখিত কোন সদস্য পদ দেয়া হয়না। ফলে সমিতিতে ভর্তির নামে প্রতিটি পরিবহন থেকে বিনা রশিদে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সংগঠনের সভাপতি ইসহাক ও সাধারণ সম্পাদক হামিদের নেতৃত্বে রশিদের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবহন থেকে দৈনিক ৫০ টাকা হারে মাসে ৬ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে লাইনম্যান ফিরোজ ও স্থানীয় যুবদলের সন্ত্রাসী আব্দুল মোনাফ। উক্ত চাঁদার রশিদে ৩০ টাকা লাইন খরচ ও ২০ টাকা সঞ্চয় লিখা রয়েছে। সমিতির কোন সদস্য চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সেই পরিবহনের চালকদের উপর নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন।

এসব অনিয়ম বন্ধ করতে গত ১৪ জানুয়ারী অটো রিক্সা লাইন পরিচালনার জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষনা করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ। একই দিন ভূক্তভোগী সাধারণ মালিকদের সাথে নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মুজিব এর সাথে হাতাহাতি হয় সমিতিরর সেক্রেটারী হামিদের সাথে।

এই ঘটনায় সালাহ উদ্দীনের বিরুদ্ধে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক হামিদ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অটো রিক্সা মালিক সাইফুল,রুবেল, জয়নাল, হামিদ, মুহাম্মদ আলী, আব্দুল্লাহ, আবছার, সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ তুলেন- সঞ্চয়ের কোন হিসাব-নিকাশ নেই। সমিতির সদস্যদের অপদকালীন সময়ে এই সঞ্চয়ের কোন প্র‍য়োজনে আসেনা সুতরাং এসব অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয় তার কোন জবাব নেই। এসব টাকার সিংহ ভাগ যায় সমিতির সভাপতি ইসহাক ও হামিদের পেটে। সমিতির কোন ব্যাংক হিসাব আছে কিনা সেটাও আমরা অবগত নয়।

ভূক্তভোগী মালিকরা এসব চাঁদাবাজি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যতায় যে কোন মূহুর্থে ঘটে যেতে পারে অনাকাংখিত ঘটনা।

বার্তাবাজার/এম আই