দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই দেবীদ্বারের আলোচিত কয়েক ব্যাক্তির অফিসে ভাঙচুর ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে ভাঙচুরের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে কেউ দাবি না করায় অভিযোগকারীদের বক্তব্যের অসংগতি ও এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি করেছে।

সোমবার ১৫ জানুয়ারী দিনে দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকা ও মোহনা টিভির দেবীদ্বার উপজেলা প্রতিনিধি ফখরুল ইসলাম সাগরের ব্যক্তিগত অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে আসছেন। ওই দিন দুপুরে এসে কার্যালয়ে এসে ভাঙচুর দেখতে পায় ওই সাংবাদিক। তবে কে বা কারা ভাঙচুর করেছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা রাতে দেবীদ্বার নিউার্কেট লোকনাথ মিষ্টান্ন ভান্ডার ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত দেবীদ্বার উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে।

তবে এ সমস্ত রহস্যজনক ঘটনা বিরুধী পক্ষকে ফাঁসানোর ও ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন অনেকে।

ভাঙচুরের ঘটনা প্রসঙ্গে দেবীদ্বার উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জানান, গত ১৩ জানুয়ারী শনিবার রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা তার গ্লাস ফিটিং দরজা, এসি, আলমিরা, টিভি, টেবিল-চেয়ার ভাংচুর, টেবিলের গ্লাসে নিচে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন দেশের প্রায় লক্ষাধিক মূদ্রা নিয়ে যায়। আলমিরা এবং টেবিলের ড্রয়ারে থাকা প্রায় দেড় লক্ষ নগদ টাকা, একটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ লুট এবং মূল্যবান সামগ্রীসহ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়। ওই ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান।

অফিসে কথিত হামলার ঘটনা নিয়ে পাশের কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব ব্যক্তির কথার সঙ্গেও অফিস লোকজনের কথা মেলে না। একজন জানান, যেখানে যে সময়ে অফিস ভাঙচুরের কথা বলা হয়েছে তা সত্যিই রজস্যজনক। সন্ধ্যা রাত ৭ টা থেকে সারে ৭ টার মধ্য এরকম ঘটনা আর আমরা এ ঘটনা কেউ দেখবোনা তা কেমন মনে হয়।

ভাঙচুর অফিসের পাশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, ‘সংসদ নির্বাচনে নিজ পছন্দের প্রার্থীর পরাজয় ও নিজেদের আধিপত্য ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতেই ঘৃণ্য শক্তির অপচেষ্টা এই ভাঙচুরের ঘটনা। আমাদের আশঙ্কা, তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে আরো বড় কোন ধ্বংসসহ আরও মারাত্মক কোনো ঘটনা ঘটতে পারে।’

তারা আরো বলেন, ‘যারা সাবেক এমপির প্রভাবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতো বর্তমানে তাদের পরাজয় নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করেছে, হয়তো তারাই এ কাজ করতে পারে। আমরা কেবল অনুমান করছি। আসলে যে বা যারা-ই করে থাকুক, কাজগুলো ভালো হচ্ছেনা।

দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নয়ন মিয়া জানান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ব্যাক্তিগত অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পেয়ে থানা থেকে দু’জন সাব ইনিস্পেক্টর পরিদর্শনে পাঠাই। বিষয়টি পূর্বশত্রুতা না রাজনৈতিক তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বার্তা বাজার/জে আই