নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কেন্দ্রে দুই মাসের শিশু উমাইজাকে ভুল টিকার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্যকর্মী টিকাদানে ভুল স্বীকার করে কোন অসুবিধা হবে একথা বললেও শিশুটিকে নিয়ে আতঙ্কে মা। এ ভুলের বিচার চান ভুক্তভোগী শিশুটির মা তাসলিমা খাতুন।

রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদান কেন্দ্রে এঘটনা ঘটে। টিকা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থাকেন শিশুসহ মা তাসলিমা শারমিন। সময় হলে টিকা কার্ড দেন দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুল মজিদের হাতে। শিশুটির মা স্বাস্থ্যকর্মীকে কার্ড নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ পেন্টা ও পিসিভি টিকা দেওয়ার কথা বলেন। এসময় তিনি তাঁর কথা কর্ণপাত না করে নিজ ইচ্ছামতে আইপিভি ও পেন্টা টিকা দেন। এ ভুলের কথা শিশুটির মা সেই স্বাস্থ্যকর্মীকে বললে তাঁর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে শিশুটির মা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ মুজাহিদুল ইসলামের নিকট অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী শিশুটির মা তাসলিমা শারমীন জানান, টিকা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মীকে তাঁর শিশুর টিকা কার্ড জমা দেন । বার বার তাঁর শিশুকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা বলেন। তিনি আমার কথা না শুনে নিজের ইচ্ছামত টিকা দেন। মা প্রতিবাদ করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে এঘটনা জানাজানি হলে সেই স্বাস্থ্যকর্মী ভুল স্বীকার করেন। পরে শিশুরটির কোন ক্ষতি হলে দায়ভার নিবে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে কৃর্তপক্ষ এমর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র দেন আমাকে।

টিকাদান কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ভুলবশত অন্য শিশুর টিকা কার্ড দেখে এ টিকা দিয়েছি। কার্ড অনুয়ায়ী সেই পাবেন পেন্টা ও পিসিভি টিকা। ভুল করে দেওয়া হয়েছে পেন্টা ও আইপিভি। আইপিভি টিকা শিশুটির তিন মাস বয়সে দেওয়ার কথা ছিল। এতে সেই শিশুর কোন ক্ষতিই হবে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোজাহিদুল ইসলাম জানান, এঘটনা জানার পর শিশুটির মাকে তিনি ডেকে আশ্বাস দেন এতে শিশুরটির কোন ক্ষতিই হবে না। তিন মাস বয়সে আইপিভি ডোজ দেওয়ার কথা । সেটা ভুল ভুলক্রমে দুই মাস বয়সে প্রদান করা হয়েছে। এতে শিশুর কোনই ক্ষতি হবে না। তিনি আরও জানান শিশুর মাকে পরবর্তী দায়ভার নেওয়ার বিষয়ে প্রত্যয়ন পত্রও দেওয়া হয়েছে।

বার্তা বাজার/জে আই