বাবার স্বপ্ন ছিলো ছেলে বিয়ে করে পুত্রবধূ বাড়ি নিয়ে আসবে হেলিকপ্টারে চড়ে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে চিকিৎসক পুত্র তৌফকিুল ইসলাম রনি।

আজ শনিবার দুপুর ২টায় প্রথবারের মতো কুয়াকাটার নববধূ নীলিমা আফরিন নওমীকে নিয়ে হেলিকপ্টার চড়ে নিজের বাড়ির পাশের মাঠে নিয়ে আসেন রনি।

চিকিৎসক তৌফকিুল ইসলাম রনি কুয়াকাটা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মানিক মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, ডিসেম্বরে পারিবারিক ভাবে কুয়াকাটা এলাকার বাসিন্দা চিকিৎসক তৌফকিুল ইসলাম রনির সাথে শরিয়তপুর নরীয়া এলাকার নুরুজ্জামান বেপারীর মেয়ে চিকিৎসক নীলিমা আফরিন নওমীর বিবাহ হয়। বিয়ের পর মেয়ে বাবার বাড়িতেই ছিল। শুক্রবার চিকিৎসক নীলিমা আফরিন নওমীর বাড়িতে বিয়ের শেষধাপের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

হেলিকাপ্টারে চড়ে নতুন বউ আসায় নববধূ ও বরকে একনজর দেখতে এলাকায় জড়ো হয় শত শত মানুষ। বর-কনেকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করে নেন বরপক্ষের স্বজনরা।

বরের চাচাতো বোন ফারজানা আক্তার সাথি বলেন, রনি যখন ছোট তখন থেকেই কাকার স্বপ্ন ছিল ছেলে বউকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে বাড়িতে আনবেন। কাকার সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। হেলিকপ্টারে বৌ নিয়ে আসায় সকলের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।

কনে চিকিৎসক নীলিমা আফরিন নওমী জানান, ‘আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল আমার বর আমাকে হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যাবেন। আমার স্বামী শখটা পূরণ করেছে। এ কারণে আমি অনেক খুশি।’

হেলিকাপ্টারে বউ আনার বিষয়ে চিকিৎসক তৌফকিুল ইসলাম রনি বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই আমার বাবা খুব ইচ্ছা আমি চিকিৎসক হবো এবং বিবাহের পরে আমি যেন হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে আসি। আজ বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই হেলিকাপ্টারে করে বউ আনলাম।

বরের পিতা মানিক মিয়া বলেন, আমার ছেলে যখন ছোট তখন থেকে আমার শখ ছিল আমার ছেলে ডাক্তার হবেন এবং আমার পুত্রবধূকে হেলিকপ্টারে করে আমার বাড়িতে নিয়ে আসবেন। আজ আমার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে এতে সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে।

হেলিকপ্টার কতৃপক্ষের কর্মকর্তা আল আমিন উজ্জল বলেন, আরএনআর (হেলিকপ্টার) সিকদার গ্রুপের একটি হেলিকপ্টার। এটি প্রথমবারের মতো কুয়াকাটায় কোন বিবাহে হেলিকপ্টারে নববধূ এসেছে। আমাদের সেবা নিতে চাইলে সংশ্লিস্ট ওয়েব সাইট ও সিকদার রির্সোটে যোগাযোগ করা যাবে।

বার্তাবাজার/এম আই