বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্লান ২০২১-২০২৪ মোতাবেক ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ এ রূপান্তরিত হবে। আর উন্নত দেশের জন্য দরকার উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সেকারণেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় স্বাস্থ্য খাতে জনশক্তির পরিকল্পনা আশু দরকারী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউয়ে মেডিকেল ডক্টর রিকোয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ বাই ২০৪১” শীর্ষক মেথডোলজিক্যাল ওয়ার্কশপে বক্তারা এ কথা বলেন।

বিএসএমএমইউর ভাইস চ্যান্সেলরের সম্মেলন কক্ষে পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

কর্মশালায় তিনি সঠিক সময়ে সঠিক পরিকল্পনার উপরে বিশেষভাবে জোর দেন। কারণ পরিকল্পনা সঠিক হলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্য ও সেবার চাহিদা অনুসারে জনশক্তি উন্নয়ন করার সম্ভব হবে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকেও প্রযুক্তি বান্ধব করার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ভিসি বলেন, দেশের স্বার্থে এবং দেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একই সাথে কাজ করতে। সময়ের সাথে সাথে রোগের ধরন পরিবর্তন বিবেচনা করে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চাহিদা ম্যাপ করে যদি জনশক্তির একটি পূর্বপরিকল্পনা করা হয়, তবেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ এ উন্নীত হব।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্ব্য অর্থনীতি ইউনিট এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড মোঃ এনামুল হক । পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সামাজিক ও প্রতিরোধক মেডিসিন অনুষদের ডিন, অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন।

কর্মশালায় অন্য বক্তারা বলেন, আগামীতে স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম জনশক্তি মেডিকেল ডক্টর/ চিকিৎসক এর প্রয়োজনীয় সংখ্যা নিরূপনে এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দেশে জনসংখ্যার পরিবর্তন, ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন, শহরমূখী হওয়ার প্রবণতা, এবং চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করার জন্য খরচ, চিকিৎসক দের মধ্যে সক্রিয় থাকার হার ইত্যাদি এই গবেষণাতে অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে ক্যাটাগরিক্যাল বিভাজন যেমন, ক্লিনিক্যাল, শিক্ষকতা, জনস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, করা সম্ভব হলে জনগণের জন্য চিকিৎসাসেবা গ্রহণ এবং পলিসি তৈরীর সময় জনশক্তি পরকল্পনা করা আরো সুবিধা হবে বলে জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হাসিন। উক্ত কর্মশালায় বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা, পরামর্শক ও গবেষক অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে জড়িত পরামর্শকবৃন্দ, পথিকৃৎ ইনস্টিটিউট অফ হেলথ স্টাডিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জেপিজি স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক বিশ্ব্বিদ্যালয়, SingHealth Duke- NUS Global Health Institute,পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বূরো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আইইডিসিআর, ইউনিসেফ বাংলাদেশ থেকে আগত বিশেষজ্ঞবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এবং এই বিষয়ের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সুযোগ এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।

বার্তা বাজার/জে আই