বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা ৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন,বিএনপি’র ভোট অর্জনের কর্মসূচি নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের শামিল। সুতরাং এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ওপর আমি ছেড়ে দিতে চাই।নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করার অধিকার কারো নেই।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ক্ষমতার পরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগ নেতাদের ফাঁসি হতে পারে রেজা কিবরিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, রেজাকিবরিয়া সাহেবদের হাতেই আইন। উনারাই গণতন্ত্র শেখান।উনাদের এমন উক্তি কতটা গণতান্ত্রিক আর কতটা স্বৈরাচারী এটা বিবেচনা করার মতো ক্ষমতা ও যোগ্যতা দেশের জনগণের রয়েছে। এরাই সিভিল সোসাইটি নামে নিজেদের পরিচয় দেয়। সুতরাং এদের সম্পর্কে দেশের মানুষ জানতে পারবে।

নির্বাচনে চ্যালেঞ্জিং বিষয়ে কোনটা এমন প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমি সবকিছুকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আওয়ামী লীগ হলো জনগণের দল, নির্বাচনী দল। তারা সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং জয় লাভের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী যারা রয়েছে তাদের সবাইকে গুরুত্ব সহকারে দেখি।নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার আসা প্রয়োজন। ভোটাধিকার প্রয়োগ একটি নাগরিক অধিকার এবং দায়িত্ব। এ দুটো বিষয়ে এখন আমরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করি।

তিনি বলেন, আমি খুব সতর্কতার সাথে আচরণবিধি মেনে চলতে চাই। ঢাকা ৮ আসন শুধু নয়, সারা বাংলাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর আমার আহ্বান ও অনুরোধ থাকবে সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। আমার অজান্তে যারা নির্বাচনী আচরণবিধি না মেনে কার্যক্রম করে হয়তো তারা অতি উৎসাহী হয়ে এসব কাজ করছে। আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয় এমন কর্মকান্ড করে আমাকে বা আওয়ামী লীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কোন কর্মীরই উচিত না।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর একটি নির্বাচন চাই। নির্বাচনে ভোটাররা আসবে এবং তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রার্থনা করছে। তারা বিপনিবিতান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় যাচ্ছে এবং সবাই কাজ করছে। মনে হচ্ছে এ যেন এক উৎসব। পাঁচ বছর পর ভোটাররা ভোট দিবে আর আমরা সেই ভোটারদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছি।

আমরা জনগণের ভোট পাওয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হতে চাই। যদি জনগণ আমাদের ভোট না দেয় তবে তো আমরা নির্বাচিত হতে পারবো না। ৩০ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৯ টায় কমলাপুর এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। সকাল ১০ টায় ইনষ্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, (আইডিইবি) মিলনায়তন কাকরাইলে সভা শেষে সকাল ১১ টায় শান্তিনগর নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে সামনে থেকে প্রতিবন্ধীদের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

তিনি রাত ৮ টায় ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ জেলা যুব কল্যান সমিতির সাথে পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে মতবিনিময় সভা এবং রাত ৯ টায় ১০ নং ওয়ার্ড এজিবি কলোনী রোডে ব্যাড মিন্টন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে রাত ১০:৩০ মিনিটে রাজারবাগ পীর সাহেব এর সাথে সাক্ষাত করার কর্মসূচি রয়েছে।

এ সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আওলাদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা কামাল চৌধুরী, মহিউদ্দিন মহি, মিরাজ হোসেন, এনামুল হক আবুল৷ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি শামীম শাহরিয়ার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল সায়েম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সম্পাদক ওবায়দুল হক খান, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুলসহ বিপুল সংখ্যক প্রতিবন্ধী শোভাযাত্রায় অংশ নেন। এছাড়া দুপুরে জননেতা বাহাউদ্দিন নাছিমের সহধর্মীনি ডাঃ সুলতানা শামীমা চৌধুরী রীতা শান্তিনগর সিদ্বেশ্বরী গারর্স স্কুলের শিক্ষক, অভিবাবক,শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময় করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রইসুল আলম ময়নার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহাবুদ্দিন মোল্লা, জাকিয়া সুলতানা শেফালী। শাহানাজ ইয়াসমিন, ওবায়দুল হক খান, আনোয়ার পারভেজ টিংকু, আব্দুল হাই টুনী, উর্মী ঢালী, কাজী শামসুল আলম শামীমসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

বার্তা বাজার/জে আই