গায়ে অ্যাপ্রোন, গলায় স্টেথোস্কোপ আর ভুয়া আইডি কার্ড ঝুলিয়ে প্রায়ই আসতেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। উদ্দেশ্য বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া। অবশেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই ভুয়া চিকিৎসক সামিউর রহমানকে (২৭) আটক করেছেন রামেক হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা।

গ্রেফতারকৃত ওই ভুয়া চিকিৎসক রাজশাহী নগরীর উপ ভদ্রা এলাকার রাশেদুর রহমানের ছেলে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র নার্স গোলাম মোস্তফা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অ্যাপ্রোন পরিহিত অবস্থায় জরুরী বিভাগে ওটি করার জন্য ঢুকেন ওই ভুয়া চিকিৎসক। এসময় কত্যর্বরত নার্সদের কাছে মাস্ক ও ওটির পোশাক চান। সেগুলো দিতে না পারায় নার্সদের ওপর তিনি চড়াও হন। ওই ব্যক্তির আচারণে সন্দেহ হলে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।

ভুয়া চিকিৎসক সামিউরের দাবি, তাঁর স্বপ্ন ছিলো বড় চিকিৎসক হওয়া। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে সেটি হয়ে ওঠেনি। তারপরও পরিবার ও আত্বীয় স্বজনদের তিনি রামেক হাসপাতালের একজন চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে আসতেন। সম্প্রতি চিকিৎসক পরিচয়ে এক নারীকে বিয়েও করেছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার (পিসি) শহিদুল ইসলাম জানান, প্রথমে গ্রেফতারকৃত সামিউর রহমান ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে স্বীকার না করলেও পরে জানান তিনি কোন চিকিৎসক নন। এরপর তাকে আটক করে রামেক হাসপাতালে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসা হয়।

উল্লেখ্য : গ্রেফতারকৃত ভুয়া চিকিৎসক সামিউর রহমান নিজেকে ইসলামী ব্যাংক ইনিস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলোজির শিক্ষার্থী দাবি করলেও সেটির পক্ষেও কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।

বার্তা বাজার/জে আই