দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিকড়ের সন্ধানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ ধারণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত জেলা মৌলভীবাজারে।

মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত কুরমা চা বাগান আবৃত মাঠে। ঘন সবুজ অরণ্য, পাহাড়ের বুকে মুগ্ধতা ছড়ানো চায়ের বাগান, লেক আর অসাধারণ নৈসর্গিক দৃশ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে চা গাছ দিয়ে মোড়ানো মঞ্চে ধারণ করা হয় এবারের ইত্যাদি।

সবার প্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র এ পর্বটি একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে আজ (২৯ ডিসেম্বর) রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। বরাবরের মতো অনুষ্ঠানটি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। এটি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

অধিকাংশ সময়ই রাতের আলোকিত মঞ্চে ‘ইত্যাদি’ ধারণ করা হয়। কিন্তু এই স্থানের নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয়। তাই এবার দিনের আলোর পড়ন্ত আভায় ইত্যাদির ধারণ শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ধারণ করা হয় ১৫ ডিসেম্বর।

দর্শকপ্রিয় ‘ইত্যাদি’ এবার ৩৫ বছর শেষে আগামী বছর পা দেবে ৩৬ বছরে। শেকড়ের সন্ধানে ‘ইত্যাদি’ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রচার বিমুখ, জনকল্যাণে নিয়োজিত মানুষদের তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক ও শিক্ষামূলক প্রতিবেদন প্রচার করে আসছে। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ‘ইত্যাদি’তেও রয়েছে কিছু মানবিক, সচেতনতা, তথ্যভিত্তিক ও শিক্ষামূলক প্রতিবেদন।

এবারের ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজারের সন্তান কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সিলেটের সন্তান তসিবা আঞ্চলিক ভাষায় একটি ভিন্নরকম প্রেমের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির কথা লিখেছেন রামাচরণ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ।

তসিবার প্রথম টেলিভিশন যাত্রা শুরু হয়েছিল এ ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমেই। এছাড়াও মৌলভীবাজারকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে একটি গান রয়েছে। মেহেদির সংগীতায়োজনে এ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন মৌলভীবাজারেরই স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী।

বার্তা বাজার/জে আই