এবার দেড় হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক স্পর্শ করলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক কামরুল ইসলাম। এর আগে এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তার সময়ে লেগেছিল ১৪ বছর। এরপর আরও ৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তার সময় লাগে মাত্র ২৬ মাস।

দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসছেন মানবিক এই চিকিৎসক।

বৃহস্পতিবার সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে রাত ১২টায় ১৫০০তম কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে শেষ করেন তিনি। প্রতিস্থাপনে সফলতার হার ৯৫ শতাংশের বেশি বলে জানান অধ্যাপক কামরুল ইসলাম।

গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি প্রতিস্থাপন পরবর্তী সব ফলোআপ ও পরীক্ষাতে কোনো ফি নেন না এই চিকিৎসক।

এছাড়া পরামর্শ ফি মাত্র ৪০০ টাকা দিয়ে বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করছেন রোগীরা।

রোগীদের মাত্রাতিরিক্ত চাপ ও মানুষের অসহায়ত্ব ঘুঁচাতে তিনি এখন সপ্তাহে পাঁচটি প্রতিস্থাপন করছেন। নিজ হাতে গড়া সিকেডি অ্যান্ড ইউোরোলজি হাসপাতালের রেকর্ড বলছে, প্রতিস্থাপনের পর এক বছর কিডনি সচল থাকার হার ৯৪ শতাংশ। তিন বছর পর্যন্ত ৮৪ শতাংশ, পাঁচ বছর পর্যন্ত ৭২ শতাংশ এবং ১০ বছর পর্যন্ত কিডনি সচল বা সুস্থ থাকার হার ৫০ শতাংশ।

দেশে কিডনি প্রতিস্থাপনে ডোনার সংকট প্রকট। মরণোত্তর কিডনি দানের পাশাপাশি তরুণদের কিডনি দানের হার বেশি হলে গ্রহীতারা আরও দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে পারে বলে মনে করছেন অধ্যাপক কামরুল ইসলাম।

বার্তা বাজার/জে আই