দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। সময়ের হিসাবে বাকি ৯ দিন। ক্রিকেট অঙ্গন থেকে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনজন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নিজ নিজ এলাকায় দম ফেলার সময় নেই তাদের।

নাজমুল হাসান পাপন ও মাশরাফী এর আগেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে প্রথমবার জাতীয় নির্বাচনে এসে বেশ আলোচনায় সাকিব। নিজেকে অনেকখানি বদলে ফেলেন তিনি। আগের উগ্র মেজাজে দেখা যাচ্ছে না তাকে। মাগুরা-২ আসনে প্রচারকালে কথার মালায় আনছেন একের পর এক চমক।

এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চমক দিয়েছেন বিসিবির সভাপতি হওয়ার ইচ্ছের কথা বলে। এতে হয়তো চমকে গেছে বিসিবির অনেক কর্তার পিলে। নির্বাচনের জিতলে কী হতে চান, এমন প্রশ্নে ঢাকা থেকে মাগুরায় যাওয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিসিবির সভাপতি হওয়ার ইচ্ছের কথা জানান সাকিব।

তার এ কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বিসিবির সভাপতির পদে বসতে চান তিনি। সাকিব বলেছেন তিনি ক্রিকেট খেলেছেন, আর ফুটবল তার পছন্দের আরেকটি খেলা। তবে তার চোখ বিসিবি সভাপতির চেয়ার দিকে। আপাতত অন্য কোনো দিকে চোখ নেই তার।

সাকিব নিজের অবস্থান আরও পরিষ্কার করেন। বলেন, ক্রিকেটকে বদলে দিতে তিনি বিসিবির সভাপতি হতে চান না। ক্রিকেটের প্রতি আলাদা ভালোবাসা আছে বলেই তিনি এই পদে বসতে চান। এখন প্রশ্ন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগেই এমন ইচ্ছে কেন প্রকাশ করছেন সাকিব।

এর উত্তর হতে পারে, বিসিবির সভাপতি পদে আর থাকতে চান না নাজমুল হাসান পাপন। গত ২৭ নভেম্বর, গণমাধ্যমে নিজের এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি। গুলশানে নিজের বাসার নিচে তামিম ইকবাল ইস্যুতে নানা কথার ফাঁকে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, তিনি বোর্ড সভাপতি পদে আর অল্প কয়েক দিন আছেন। এর মাঝে ক্রিকেটের সমস্যা দূর করার চেষ্টা করবেন।

তবে নাজমুল হাসান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর পুনরায় বিসিবির সভাপতি পদে থাকার আগ্রহ দেখাবেন কিনা, সেটা নিশ্চিত না। তবে বিসিবি সভাপতি হওয়া নিয়ে কথা বলে নাজমুল হাসান পাপনের বুকে একটু হলেও শঙ্কার বীজ বুনে দিয়েছেন সাকিব। তার প্রমাণ নির্বাচনের পর মিলবে। যদি দুজনই জয়ী হতে পারেন!

বার্তা বাজার/জে আই