গতকাল বৃহস্পতিবার, (২৮ ডিসেম্বর) শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা থেকে রাসেল’স ভাইপার উদ্ধার করেন “স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশ” এর রেস্কিউয়ার সা’দ আহমেদ অপু।

স্থানীয় জনগণের মাধ্যমে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করার কল পায় “স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশ ” এর সেচ্ছাসেবীরা।

প্রসঙ্গত, ফোনের ওপ্রান্ত থেকে প্রাপ্ত বর্ণনা শোনার পর রেস্কিউয়াররা কিছুটা দিধাগ্রহস্থ হলেও একজন প্রত্যক্ষদর্শীর পাঠানো ছবির বরাতে নিশ্চিত হওয়া যায় এটি অজগর নয় বরং এটি মারাত্নক বিষধর রাসেল’স ভাইপার সাপ।

“স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশ” এর এক্সপার্ট রেস্কিউয়ার সা’দ আহমেদ অপু রিমোট কন্ডাক্টিং পলিসিতে সাপটিকে নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে খুলনা থেকে ছুটে যান সাপটিকে উদ্ধার করতে।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেস্কিউয়াররা জানতে পারেন সাপটিকে নির্বিষ অজগর ভেবে স্থানীয় লোকজন সেটাকে হাতে গলায় পেঁচিয়ে নিয়ে খেলা করছিলো। এমনকি সেখানে অবস্থানরত সকলেই সাপটিকে একটি বিনোদনের বস্তু ভেবে খেলায় মেতে উঠেছিলো। যেখান থেকে ক্ষতিকারক কিছু একটা ঘটার পাশাপাশি প্রাণ হানির মতো মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও ছিলো প্রবল।

ইতিপূর্বেও দেশে রাসেল’স ভাইপার কে অজগর ভেবে খেলা করতে গিয়ে সাপের কামড়ে মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে “স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশ” এর সদস্যরা প্রতিটা অপারেশনকে গুরুত্ব ও পূর্ন পেশাদারিত্ব সঙ্গে পালনের পাশাপাশি জন সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

রাসেল’স ভাইপারটিকে সফল ভাবে উদ্ধারের পর রেস্কিউয়ার অপু স্থানীয় সবাইকে একত্রিত করেন এবং বিষধর সাপ চেনা ও ক্ষতি থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি, সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হয় তা জানিয়ে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক পরামর্শ  ও দিকনির্দেশনা দেন।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার