গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু করতে পারেননি প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে একই দিন সকাল ৮টা থেকে জিসিসির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে গাছা থানা এলাকার ২৬৫ নম্বর কেন্দ্র গাছা উচ্চ বিদ্যালয়। এ কেন্দ্রের কয়েকটি বুথেই ইভিএম সমস্যার কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ ছাড়া ভোটার তালিকার সঙ্গে ইভিএম সফটওয়্যার না মেলায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিনারুদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ইভিএমের সফটওয়্যার সমস্যা থাকার কারণে সঠিক সময়ে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। ভোটার তালিকার সঙ্গে ইভিএমের তালিকায় কিছুটা গরমিল থাকায় সমস্যা হয়েছিল। আমার কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে সবগুলো বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

মেয়র পদপ্রার্থীরা হলেন, অ্যাডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান (আওয়ামী লীগ-নৌকা), এম এম নিয়াজ উদ্দিন (জাতীয় পার্টি-লাঙল), জায়েদা খাতুন (স্বতন্ত্র-টেবিলঘড়ি), আতিকুল ইসলাম (গণফ্রন্ট-মাছ), গাজী আতাউর রহমান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-হাতপাখা), মো. রাজু আহম্মেদ (জাকের পার্টি-গোলাপ ফুল), মো. হারুন-অর-রশীদ (স্বতন্ত্র-ঘোড়া) এবং সরকার শাহনুর ইসলাম (স্বতন্ত্র-হাতি)।

উল্লেখ্য, সিটি করপোরেশনের ৪৮০টি কেন্দ্রে রয়েছে। এ নির্বাচনে ৩৩৪ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনে লড়বেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে এই নগরের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছে ১৮ জন।

বার্তা বাজার/জে আই