কাশি একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সর্দি-কাশি, অ্যালার্জি, ঠান্ডা, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ইত্যাদি কারণে কাশি হতে পারে। কাশি সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে।
ঘরোয়া উপায়ে কাশি দূর করার জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
মধু
মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কাশি দূর করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
আদা
আদাতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কাশি দূর করতে সাহায্য করে। এক টুকরো আদা কুচি করে গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন। অথবা, এক চা চামচ আদা বাটা এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
রসুন
রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান রয়েছে যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কয়েক কোয়া রসুন চিবিয়ে খান অথবা, এক কোয়া রসুন কুচি করে গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন।
তুলসী
তুলসীতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কয়েকটি তুলসীপাতা চিবিয়ে খান অথবা, এক গ্লাস গরম পানিতে কয়েকটি তুলসীপাতা ফুটিয়ে সেই পানি পান করুন।
লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করুন। লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার প্রদাহ কমে এবং কফ বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। এক গ্লাস কুসুমগরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এই লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করুন।
গরম পানির ভাপ নিন। গরম পানির ভাপ নিলে গলা পরিষ্কার হয় এবং কফ বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিন। সেই পাত্রের উপর একটি তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে নিন। ৫-১০ মিনিট গরম পানির ভাপ নিন।
এই টিপসগুলি অনুসরণ করলে সাধারণত কাশি দূর হয়ে যায়। তবে, কাশি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এছাড়াও, কাশি দূর করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি এড়িয়ে চলুন:
ধূমপান
ধূমপান গলায় প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং কাশি বৃদ্ধি করে।
ঠান্ডা খাবার এবং পানীয়
ঠান্ডা খাবার এবং পানীয় গলায় জ্বালাপোড়া করে এবং কাশি বৃদ্ধি করে।
অতিরিক্ত কফি এবং অ্যালকোহল
অতিরিক্ত কফি এবং অ্যালকোহল শরীর থেকে পানি বের করে দেয়, যার ফলে গলা শুষ্ক হয়ে যায় এবং কাশি বৃদ্ধি পায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে কাশিসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমে।
বার্তা বাজার/জে আই