মাদারীপুরের রাজৈরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের পর ৮ মাসের গর্ভবতী হওয়া প্রেমিকার গর্ভপাত ঘটিয়ে নবজাতককে হত্যা করা হয়েছে। উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের সেন্ট্রাল হাসপাতালে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে রাজৈর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পিতা। পরে ওই হাসপাতালের নার্স শাহিদা আক্তারকে(২৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মামলার প্রধান আসামি প্রেমিক শামীম হাওলাদার(২১), আকাশী বেগম(২৫), আমিনুর হাওলাদার(৩০), ও গ্রাম্য ডাক্তার নিজাম(৪৫) পলাতক রয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের পাখুল্লা গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে শামীম হাওলাদারের প্রেমের ফাঁদে পড়ে ওই যুবতী। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে শামীম। একপর্যায়ে সে গর্ভবতী হয়ে পড়লে শামীম গাঢাকা দেয়। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত ২৫ নভেম্বর ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ওই যুবতীকে টেকেরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যায় শামীমের ভাবি আকাশী বেগম।

এরপর গ্রাম্য ডাক্তার নিজাম ও নার্স শাহিদার সাহায্যে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে ৮ মাসের নবজাতককে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে স্বজনেরা। এ ঘটনায় ২৭ নভেম্বর তার পিতা বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী ওই যুবতী জানান, প্রায় এক বছর যাবত আমাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার ভাবি (আকাশী) আমাকে ঘুরতে যাওয়ার বলে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এরপর কিছু না বলেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় সে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

রাজৈর থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এ মামলায় টেকেরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের নার্স শাহিদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।

বার্তা বাজার/জে আই