ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভার দূর্বলতায় দুই দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রী পারাপারে ধীরগতি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই দেশের যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল থেকেই এ সমস্যা দেখা দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ খাইরুল আলম। তিনি বলেন, আজ সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। হটাৎ করে যাত্রী চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সার্ভার ধীরগতি হয়ে পরে। আমাদের সফটওয়্যার টেকনিক্যাল টিমের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি আমাদের ইমিগ্রেশনে যে সার্ভার রয়েছে সেইটির ধারণক্ষমতা কম থাকায় যাত্রীদের চাপে ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণ করতে সময় নিচ্ছে।তাছাড়া আমাদের জনবলেরও সংকট রয়েছে।
ইমিগ্রেশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া ইমিগ্রেশন অফিসে তিনটি কম্পিউটার ডেস্ক রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ডেস্কে বহির্গমন এবং এটিতে আগমনী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যাত্রী চাপ বেড়েছে। এতে করে সার্ভার দূর্বল হয়ে যায়।যে কাজ করতে ১-২ মিনিট লাগত সেখানে একই কাজ করতে সময় লাগছে ১৫-২০ মিনিট। এ সময় ভারত- বাংলাদেশগামী শত শত যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে নারী শিশুসহ রোগীরা ভোগান্তিতে পড়ে। ইমিগ্রেশন এলাকাটি ছোট হওয়ায় বসার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় রোগী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
শ্রীমঙ্গলের বাসিন্দা নিলিমা দাস চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে ছিলেন আজ সকালে দেশে ফেরেন। দুই ঘন্টা যাবৎ বসে আছেন ইমিগ্রেশন কাজ শেষ করতে পারছে না। এমনিতেই অসুস্থ তার উপর তিব্র গরম। তাছাড়া এখানে বসার কোন পরিবেশ না থাকায় কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঢাকার বাসিন্দা ইমরান ঘুরতে যাচ্ছেন। বেলা সাড়ে ১২ টায় ইমিগ্রেশনে এসে সার্ভার ধীরগতির কারনে বিড়ম্বনায় পরেছেন। তিনি বলেন দেশ উন্নত হয়েছে। কিন্তু এই দিকটাতে সরকারের নজর দেওয়া উচিত, সিস্টেম গুলো আরো আপডেট হওয়া প্রয়োজন। আর এত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা এখানকার পরিবেশের কথা নাইবা বলি।
বার্তা বাজার/এইচএসএস