পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ আজকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলটি কালভার্ট রোড থেকে শুরু করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টন হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে পল্ট মোড়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে কিছুক্ষণ পল্টন মোড় অবরোধ করে রাখেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে দুই শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হাসান বলেন, এই সরকার এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে এমপি মন্ত্রিত্বের অফার দিচ্ছে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, গণঅধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার অধীনে কোন পাতানো নির্বাচনে যাবেনা। যতই চাপ আসুক, যতই নির্যাতন আসুক আমরা প্রয়োজনে কেরানীগঞ্জ কারাগারে যাবো, তবুও এই সরকারের পাতানো ফাঁদে পা দিবোনা। সরকার এখন লাগামছাড়া পাগলা ঘোরার মতন আচরণ শুরু করেছে। তারা যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

ফারুক হাসান আরো বলেন, সরকার আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য। আমি সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি, কারাগারে যাবো তবিও অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবোনা।। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কর্ণেল অবঃ মিয়া মসিউজ্জামান বলেন, বর্তমান এই শেখ হাসিনার সরকার হলেন নব্য রাজাকারের সরকার। যারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবেন তারাও নব্য রাজাকার। আমরা গণঅধিকার পরিষদ এই নব্য রাজাকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নিবোনা।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, ভোটচোর সরকার এখন পাগল হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় সাহেব বলে বিএনপি জামায়াত নাকি ১০/১৫ বছর পরে আর থাকবেনা। আমরা বলতে চাই, আপনার আ’লীগ আর কয় মাস টিকে সেটা নিয়ে ভাবেন। বিএনপি জামায়াত এবং গণঅধিকার পরিষদ ঠিকই টিকে থাকবে।

গণঅধিকার পরিষদের নেতা মোজাম্মেল মিয়াজির সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, গণনেতা অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, এডভোকেট শিরিন আকতার, জিয়াউর রহমান, আরিফ বিল্লাহ, মাহবুবুল হক শামীম, আব্দুল্লাহ; যুব অধিকার পরিষদের আহবায়ক সাকিব হোসাইন; ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদ প্রমূখ বার্তা প্রেরক ফার্মাসিস্ট মোজাম্মেল মিয়াজি দপ্তর সহ-সমন্বয়ক গণঅধিকার পরিষদ।

বার্তাবাজার/এম আই