লালমনিরহাটে কমলা ও মাল্টা চাষে অভাবনীয় সাফল্যের দেখা পেয়েছে নার্সারী ব্যবসায়ী একরামুল হক( ৩৫)। দু‘বছরে আয় করেছেন কোটি টাকার বেশী। করেছেন আলিশান বাড়ী কিনেছেন গাড়ী। একরামুলের সাফল্যে এগিয়ে আসছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা।

সরোজমিনে গিয়ে কথা হয় উদ্যক্তা ও ব্যবসায়ী একরামুলের সাথে, তিনি জানান, গাছের প্রতি ভালোবাসা থেকে তিনি নার্সারির ব্যবসা শুরু করেন। এক পর্যায়ে নার্সারীর পাশাপাশি অতিরিক্ত জমি লিজ নিয়ে ফল ফলাদির বাগান করেন। ২০১৮ সালের দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা এলাকায় ৬ একর জায়গা বাণিজ্যিক ভাবে মাল্টা ও কমলার ২৮০০ চারাগাছ রোপন করেন। এর মধ্যে ২৪ শ বারী জাতের মালটার চারা বাকী চারশর মধ্যে ২ শ চায়না ও ২ শ দার্জিলিং জাতের কমলা। ১৭০০ মাস বয়সে গাছ গুলো ফল দেয়া শুরু করে। গত ২০২২ সালে ৭০ লাখ আর চলতি বছর ৫০ লাখের বেশী টাকার ব্যবসা করেছেন।

এ বিষয়ে সদরে উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া ব্লকের কৃষি উপসহকারী বিউটি রানী বৈরাগী জানান, তিনি নার্সারী ব্যবসায়ী একরামুলকে ফল বাগান করার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেন। চারা লাগানো থেকে ফল আসা পর্যন্ত নানা রকমের পরামর্শ ও সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করেছেন। তাঁর পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা ও সব সময় সু পরামর্শ দিয়ে এসেছেন।

একরামুলের দৃষ্টিনন্দন ফলবাগান দেখতে পরিবারসহ ঘুরতে আসছেন অনেকেই। বাগানে প্রায় ৫০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সেই সাথে জেলায় মাল্টা ও কমলার নতুন বাজার তৈরি হয়েছে। খুচরা ও পাইকারীভাবে সবাই সবার সাধ্যমত কিনতে পারছে এবং জেলার বাহিরে রংপুর, বগুড়াসহ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এসব মাল্টা ও কমলা বিক্রি হচ্ছে।

বার্তাবাজার/এম আই