আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করে বলেছেন, বিএনপির গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করার শক্তি নেই। বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন করার শক্তি ও সামর্থ্য নেই বলেই তারা বরাবরের মতো অগ্নি-সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তথাকথিত সরকার পতনের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় তাদের অন্তরের জ্বালা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যর্থতার সেই আগুনে তারা জনগণের আগামীর সম্ভাবনাকে পুড়িয়ে ছাই করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের অগ্নি-সন্ত্রাস থেকে জীবন্ত-ঘুমন্ত মানুষ এবং নারী ও শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না। সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জনগণের নিরাপত্তা সুরক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

তিনি বলেন, বিএনপির ক্যাডার বাহিনীর যারা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সন্ত্রাস ও নাশকতা চালাচ্ছে, তারা নিজেরাই গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকছে। অথচ বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বরাবরের মতো গুমের মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছে। গুম, খুন ও সন্ত্রাসের রাজনীতি হলো বিএনপির মজ্জাগত আদর্শ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এদেশে গুম ও খুনের অপরাজনীতির প্রচলন করেছিলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০১-০৬ বিএনপি-জামায়াতের আমলে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। তারা সংবিধান পরিপন্থী অপারেশন ক্লিনহার্টের মাধ্যমে শত শত মানুষকে হত্যা করেছিল।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র, নাশকতা, ও গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

বার্তা বাজার/জে আই