বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে বগুড়ায় অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বগুড়ায় মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এদিকে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালীন পুলিশ গুলি ছুড়লে এখন পর্যন্ত সাংবাদিকসহ ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।
আজ সকাল ৭টার দিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে নেতা–কর্মীরা শহরের উত্তরে মাটিডালী মোড়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের আরেকটি অংশ শহরের দক্ষিণে লিচুতলা দ্বিতীয় বাইপাস মোড়ে অবস্থান নেন। এতে রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী বেশ কিছু যানবাহন লিচুতলা বাইপাস মোড়ে আটকা পড়ে। প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা লাইন ছিল।
এসময় বিএনপির যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্নভাবে আমরা রাস্তা অবরোধ করছি। কোথাও কোন সহিংসতা নেই।

জানা গেছে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার কারণে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের সহযোগিতায় কিছু যানবাহন দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়ক ধরে উত্তরবঙ্গের দিকে যেতে থাকে। পুলিশ যানবাহনগুলো মাটিডালী মোড় পার করে দেওয়ার পর মহাসড়কে বাঘোপাড়া খোলারঘর এলাকায় অবরোধকারীদের কবলে পড়ে। অবরোধকারীরা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে এবং টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব সদস্যরা সেখানে পৌঁছলে অবরোধকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এর জবাবে অবরোধকারীর পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। প্রায় আধা ঘণ্টা সংঘর্ষের পর অবরোধকারীরা পিছু হটে।

এ ছাড়া দুপুরে শাজাহানপুর উপজেলা থেকে যুবলীগের ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মী পুলিশ প্রোটেকশনে মোটরসাইকেলে বনানীর দিকে আসছিলেন। লিচুতলা বাইপাস মোড়ে অবরোধকারীরা তাঁদের ধাওয়া দিলে তাঁরা ২ টি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। পরে অবরোধকারী মোটরসাইকেল তিনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে অবরোধকারীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় শহর জুড়ে থমথমে বিরাজ করছে। সেই সাথে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যেসকল গাড়ি মহাসড়কে আটকে পড়ে পুলিশ ও বিজিবি সেসব গাড়ী পাহারায় পার করে দিচ্ছেন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

সারাদেশে বিএনপির ও জামায়াতের অবরোধের প্রথম দিন ছিল বগুড়ায় উত্তপ্ত । বিএনপির মাঠে সরব উপস্থিতি থাকললেও জামায়াতের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

বার্তা বাজার/জে আই