গভীর রাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশি কাজে বাধাদানের অভিযোগে জামায়াত-বিএনপির তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত মধ্য রাতে গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য মুক্তার হোসেন (৫৩)। তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দুধগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। অপর দুইজন ধারাবারিষা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামের আমির আব্দুল গণি এবং ধারাবারিষা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান হেনা (৫২)। তারা ধারাবারিষা ইউনিয়নের ধারাবারিষা দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ বলছে, বিএনপি’র দেওয়া ২৮ অক্টোবরের সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপির দুই নেতা মনিরুজ্জামান হেনা ও মুক্তার হোসেন। মূলত ঢাকা থেকে এলাকায় ফিরেই লোকজন নিয়ে সঙ্গবদ্ধ হয়ে পৌর শহরের চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে পুলিশি কাজে বাধা দেন। ভিতি ছড়াতে একপর্যায়ে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।

গুরুদাসপুর থানার উপপরিদর্শক এমরান জানান, গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি-জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিএনপি’র ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল সফল করতে গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপি’র নেতা-কমীদের মাঠে দেখা যায়নি।

গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ জানান, তিনি শনিবার দলীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। এখনো এলাকায় ফিরেননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগ বেলা ১১টার দিকে পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজারে নেতা-কর্মীদের নিয়ে শান্তি সমাবেশ করে। একই সময় বর্তমান সংসদ সদস্য সমর্থিতরা বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে বাদ্য বাজিয়ে মিছিল এবং নয়াবাজার এলাকায় সমাবেশ করে। তবে মহাসড়কে দুপুর পর্যন্ত দূরপাল্লার যাত্রবাহীবাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। মালবাহী ট্রাক, এ্যাম্বুলেন্স এবং থেমে থেমে যাত্রীবাহী স্থানীয় বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান জানান, হরতালের কোনো প্রভাব গুরুদাসপুরে পরেনি। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা আছে।

বার্তাবাজার/এম আই