কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনার তিন দিন পর আহত রবিউল তার বাবার সাথে দেখা পেয়েছে। ২৩ অক্টোবর সোমবার বিকাল ৩টা ২০মিনিটের দিকে ভৈরব থেকে ছেঁড়ে যাওয়া ঢাকাগামী আন্ত:নগর এগারো সিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনের আউটার সিগন্যাল পার হওয়ার পূর্বেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহি ট্রেন ভৈরব স্টেশনে ঢুকার সময় এগার সিন্ধুর ট্রেনটির পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে করে দুটি বগী চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে লাইল থেকে ছিটকে পড়ে।

এই সময় দুর্ঘটনাস্থলে ১৭জন নিহত ও গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নরসিংদীর বেলাবর উপজেলার সররাবাদ এলাকায় মো: নুর-ইসলাম নামে একজন মারা যায় । এ পযর্ন্ত ট্রেন দুর্ঘটনায় মোট মারা যায় ১৮জন । আহত হয় শতাধিক যাত্রী। এই সময় রবিউল নামে এক শিশু আহত হয়ে রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তিন দিন ধরে রবিউলের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।

জানা গেছে হাসপাতালে ভর্তিও পর তার পরিবার থেকে কেউ খোজ নেইনি। তার নাম ছাড়া,ঠিকানা বলতে পারে না রবিউল। ট্রেন দুর্ঘটনায় সে মুখে ও পিঠে আঘাত পায়।

ট্রেন দুর্ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহত শিশুটির কথা ছড়িয়ে পড়লে জানাযানি হয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় শিশুটির বাবা মিলন মিয়া হাসপাতালে এসে রবিউলকে পেয়ে কান্না করে বলেন ,আমি তাকেঁ কনেক খোঁজা-খুজি করেছি,তার কোন খোঁজ পাইনি অবশেষে ফেইজবুকের মাধ্যমে জানতে পারি ট্রেন দুর্ঘটনা হয়ে ভৈরব হাসপাতালে আছে।

রবিউলকে তার বাবার কাছে তুলে দেন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রিফফাত আহমেদ ,হাসপাতালের ডাক্তার বৃন্দ ও হাসপাতালের সেবিকা বৃন্দ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.বুলবুল আহমেদ আরও জানান, এ পযর্ন্ত মোট ১৮ জন মারাযায়, দুর্ঘটনার রাতে আমরা ১৭ টি লাশ তাদের
স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আহতদের মাঝে ২০জনকে ঢাকায়, ৪০জনকে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ১২জনকে অন্যান্য হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়।

মালবাহি ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রথমিক ভাবে জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ওই ট্রেনটির চালক, সহকারি চালক ও পরিচালক (গার্ড) কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বার্তা বাজার/জে আই