স্মার্ট জাতি গঠনের অন্যতম মাধ্যম হলো খেলাধুলা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লিয়াকত সিকদার।

রোববার (৮ অক্টোবর) বিকালে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ফলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বারাশিয়া ফুটবল একাডেমি ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট লিয়াকত সিকদার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ ও জাতি গঠনের প্রথম শর্ত হলো লেখাপড়া। আর লেখাপড়ার মাধ্যমে জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি স্মার্ট নাগরিক গঠনের অন্যতম মাধ্যম হলো খেলাধুলা। খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। ফুটবল পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম খেলা। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। এই খেলার মাধ্যমে ছাত্র সমাজকে ন্যায়ের পথে, কল্যাণের পথে ধাবিত করে দেশ, সমাজ ও পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ ও সচেতন করে তোলা যায়।

এসময় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি আহসান উদ্দৌলা রানা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান, আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শামিনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম সুজা, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শেখ তাহিদুর রহমান মুক্ত, বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, সাবেক শেখর ইউপি চেয়ারম্যান ইস্রাফিল মোল্যা, রূপাপাত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজার রহমান, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আব্দুল আলীম খান ও মীরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তন্ময় উদ্দৌলা।

সমগ্র খেলাটি পরিচালনা করেন, আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আসলাম হোসেন এবং ধারা বর্ণনায় ছিলেন আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মাহিদুল হক।

খেলায় সহস্রাইল বেনজির স্মৃতি ফুটবল একাদশ বনাম টিটা ফুটবল একাদশ অংশ নেয়। ৯০ মিনিটের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বেনজির স্মৃতি ফুটবল একাদশ চ্যাম্পিয়ন হয়।

পরে অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি ফ্রিজ ও রানার্সআপ দলকে একটি এলইডি টিভি তুলে দেন।

এদিকে খেলোয়ারদের নৈপূণ্যময় ফুটবল খেলা প্রদর্শনে মুগ্ধ হন হাজার হাজার ক্রীড়ামোদী দর্শক। এ ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের আনন্দ বিনোদন দেওয়ার লক্ষ্য ছিল আয়োজকদের।

বার্তা বাজার/জে আই