ভারতের সিকিম থেকে হুহু করে নেমে আসছে পানি। এতে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত দশটার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্ট দিয়ে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে বিকেলে বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

জানা যায়, সিকিমের একটি বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় সকাল থেকেই আকষ্মিক ভাবে লালমনিরহাটের তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে বন্যা প্রবণ এলাকায় মাইকিং’র মাধ্যমে স্থানীয়দের সতর্ক করে দেয় লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন তিস্তা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় সারাদিন মাঠে ছিলো উপজেলা প্রশাসন।

সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ হোসেন বলেন, দুর্যোগকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা বা আইন শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে এরজন্য সকাল থেকে মাঠে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের টিম কাজ করছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি লোকমান হোসেন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মাইকিং’র মাধ্যমে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছি। পাশাপাশি আমরা বন্যা প্রবণ এলাকায় টহল দিচ্ছি। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে বুধবার বিকেলে তিস্তা ব্যারাজ এলাকা পরিদর্শন করেছেন লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি। এ সময় তিনি জানান, তিস্তায় ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত নদীর তীরবর্তী মানুষদের সরে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবেলায় সবসময় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।

বার্তাবাজার/এম আই