জাতীয় সংসদের স্পিকার ও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের এমপি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাবা-মা-ভাই হারা হয়ে ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন একজন এতিম হয়ে।

বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার করার লক্ষ্য নিয়ে। তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করে এদেশ সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি এসেছিলেন। এখন সেই কাজগুলোই তিনি করে যাচ্ছেন। সুন্দর দেশ গড়তে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

আগামী দিনেও যেন তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য, উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুয়ের সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের জন্য, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে উচ্চ মর্যাদার জায়গায় আসীন করার জন্য কাজ করে যেতে পারেন এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ওলামা লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলাম ফারাজীর সভাপতিত্বে ওই সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পেীর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, ওলামা লগি নেতা মাওলানা আবু সুফিয়ান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় পুজি বাংলার মানুষ। বঙ্গবন্ধু নিজেও বিশ্বাস করতেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তাঁর মেয়েও একই জিনিস বিস্বাস করেন।

মানুষের জন্য শেখ হাসিনার যে ভালোবাসা ও দরদ সেটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় পু্ঁজি। বাংলার মানুষও তাকে ভালোবাসে এবং প্রতিদান দিতে জানে। সেকারণেই তিনি পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বাংলার মানুষ অন্তর থেকে শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন। সেজন্য তিনি আরো বহুদিন বাংলার মানুষের সেবা করে যেতে পারবেন। সকল ষড়যন্ত্র কে নস্যাৎ করে তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে যাবেন উচ্চতার শিখরে। দেশ আমাদের সবার, আপনার আমার সকলের।

আমাদের সকলের সন্তান আছে, পরিবার আছে। তারাই এদেশে বসবাস করবে। বিদেশে থাকার যে আকাঙ্খা, সেটাও অনেকখানি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশটাকে যদি আমরা ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারি। আমাদের সে সম্পদ আছে, প্রাচুর্য আছে, মানবসম্পদ আছে, সবকিছুই আছে।

তারপরেও কেন আমরা পারবো না? আমরা যদি আমাদের দেশটাকে যথাযথভাবে গড়ে তুলতে পারি। আমাদের প্রজন্মের জন্য নতুন সুযোগগুলো খুলে দিতে পারি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা গড়তে তুলতে পারবো। তখন আমাদের বিদেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।

আসুন সবাই মিলে শেখ হাসিনার সাথে থেকে বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাই। দুস্থ, অসহায়, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনে কিভাবে পরিবর্তন আনা যায়, কিভাবে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটানো যা্য় সেই বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়েই সরকার প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। গরীব মানুষদের বিভিন্ন ধরণের যে ভাতা হিসেবে দেয়া হয় সেটা সরকার রাজস্ব থেকে নিজস্ব অর্থায়নে করে থাকে।

এগুলো কোন বিদেশী ফান্ড বা সহায়তা নয়। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা দিয়েই আমরা করি। যারা জীবনে পিছিয়ে পড়ে আছে সেই জনগোষ্ঠিকে বিপুল ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। সে কারণেই আজকে আশ্রয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন এবং বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সারা বাংলাদেশে নয় লক্ষ গৃহহীন মানুষ কে ঘর করে দেয়া হয়েছে। ওই প্রকল্পের আওতায় পীরগঞ্জ উপজেলার অনেক মানুষ কে ঘর করে দেয়া হয়েছে।

সরকারের গ্রহীত প্রত্যেকটি প্রকল্পেই দরিদ্র, অসহায় মানুষ লাভবান হচ্ছে। এটাই আওয়ামী লীগের সাফল্য। এরআগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, বিভিন্ন অনুদানের চেক বিতরণ, স্থানীয় সরকার দিবসের উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন তিনি । এসময় উপস্থিত ছিলেন জেল প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীমসহ আরো অনেকে।

বার্তা বাজার/জে আই