বিশ্বকাপ দল নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। স্কোয়াডে রাখা হয়নি তামিম ইকবালকে। নির্বাচকদের পক্ষ থেকে ইনজুরির কথা বলা হলেও সেটি ঠিক নয় বলে দাবি করেন তামিম। তিনি জানান, তাকে নিচে ব্যাটিং করতে বলা হয়েছিল কিন্তু রাজি হয়নি। পরে এ নিয়ে মুখ খোলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তামিমের আচরণকে ‘বাচ্চামো’ মনে করেন তিনি।

এবার এ নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘সাকিব আরও একটি কথা বলেছে, দলের স্বার্থে যে কাউকে যেকোনো জায়গায় ব্যাটিং করতে হতে পারে। আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে, সাকিব যেহেতু নেতৃত্ব নিয়েছেই। সাকিবই পারতো তামিমকে একটা মেসেজ দিতে বা এক মিনিট ফোনে কথা বলতে যে আমার এই পরিকল্পনা আছে, এটা আমি তোর সঙ্গে পরে আলোচনা করবো। পুরো জিনিসটা এখানে চাপা পড়ে যেতো। ’

দীর্ঘদিন ধরে পিঠের চোটে ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। এজন্য এশিয়া কাপেও খেলতে পারেননি তিনি। পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরে একটি ইনিংসে ব্যাট করে ৫৮ বলে ৪৪ রান করেন তামিম। কিন্তু শেষ অবধি তাকে রাখা হয়নি দলে। তামিমকে নিচে ব্যাট করার কথা নিয়েও অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

এ নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘তামিম ম্যানশন করেছে তার বক্তব্যে, ক্রিকেট বোর্ড থেকে যিনি কথা বলেছে, তিনি হয়তো বলেছে তুমি প্রথম ম্যাচে একাদশে থেকো না; থাকলেও নিচের দিকে ব্যাটিং করো। এখানে বেশ কিছু কথা বলার আছে। ’

‘প্রথম হচ্ছে তামিম হয়তো কিছুটা উত্তেজিত হয়ে বলেছে। কিন্তু তার ভিত্তিতে তাকে দলে না রাখা আসলে কেমন হলো একটা জিনিস। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে তামিমকে এই বিষয়টা কিন্তু যে তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না বা খেললেও নিচে ব্যাটিং করো। আমার যদি ক্রিকেট জ্ঞান বিন্দুমাত্র থাকে, এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডের কেউ বলার বিষয় না। এটা বলবে একমাত্র কোচ বা অধিনায়ক বা নির্বাচকরা যিনি যাবেন দলের সঙ্গে। মূল কথা হচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্ট বলবে। তারা যদি বলে এটা বাংলাদেশ থেকেও বলতে পারতো। ভারতে গিয়েও বসে বলতে পারতো ম্যাচের একদিন আগে, দুইদিন আগে। যেটা আইডিয়াল সিচুয়েশন হয় উইকেট অ্যাসেস করার পর প্রতিপক্ষ তাদের বোলার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। কেন এটা এত আগে বলা হলো।’

বার্তাবাজার/এম আই