টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবুল খায়ের মোঃ আনিসুর রহমান এর বিরুদ্ধে খামারীদের ঘর বিতরণের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি (এল,এ,ডি,ডি,পি) প্রকল্পে নারী খামারীদের নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে ঘর নির্মান বরাদ্দের টাকা নামে মাত্র কাজ করে দিয়ে সমস্ত টাকা নিজে হাতিয়ে নিয়েছে এ নিয়ে সদস্যদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে ।

সরেজমিনে খামারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনে প্রাণী সম্পদ ও ডেইরী এল,এ,ডি,পি প্রকল্পের উন্নয়নের জন্য দেশী মুরগীর ঘর নির্মাণের জন্য ঘাটাইলের আনেহলা ও লোকেরপাড়া ইউনিয়নে ৭২ জন নারী খামারীকে জনপ্রতি বিশ হাজার টাকা করে বরাদ্দদেয় সরকার । এছাড়া একই প্রকল্পে রাসুলপুর ও লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ছাগল পালনের জন্য ঘর নির্মাণের বরাদ্দ ৪০টি । সেই টাকা গত জুন মাসে খামারীদের নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা করে সরকার। তবে নারী খামারীরা নিজ নিজ ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাওয়ার সাথে সাথে পিজি সদস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা খামারীদের নানা ভাবে প্রলোভন বিধি নিষেধ ও কথা না মানলে তাদের কে সদস্য পদ থেকে বাদ দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ ফেরৎ নেন তারা।

পরে খামারীদের জন্য সাড়ে চার হাত লম্বা ও সাড়ে তিন হাত পাশ, নামে মাত্র ঘর তৈরী করে দিয়ে অবশিষ্ট বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সদস্যদের নামে ব্যাংকে জমা টাকা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কিভাবে পেলেন জানতে চাইলে হাটকয়ড়া দেশী মুরগী সমিতির সদস্য আনেহলা গ্রামের কাল্পনা বেগম, সেলিনা বেগম, মিতু বেগম সহ আরও অনেকেই জানান আমরা নিজেরাই ঘর তৈরি করতে চেয়েছিলাম কিন্তুু বড় স্যার করতে দেয় নাই। তিনি বলেছেন উপরের নির্দেশ আছে সব ঘর এক ধরনের ডিজাইন করতে হবে কাজেই তোমাদের টাকা দেয় যাবে না । তার পরেও কেউ কেউ আপত্তি করলে স্যার রাগ করে সদস্য পদ থেকে বাদ দেয়া ভয় দেখালে আমরা সকলেই ঘাটাইল কৃষি ব্যাংকে গিয়ে স্যারের কথা মতো স্বাক্ষর দিয়ে আসি পরে স্যার এই সব ঘড় আমাদের করে দিয়ে ।একই সমিতির সদস্য পারভীনের ছেলে রবিউল জানান, আব্বু তো আমাদের বলেছে এই ঘর তৈরি করতে ১০ হাজার টাকাও খরচ হয় নাই ।

এসব অনিয়মের বিষয়ে আনেহলা ইউনিয়নের পিজি সদস্য (মাঠকর্মী) আজিজুল জানান আমাদের কাছে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করে স্যার কে জিজ্ঞাসা করেন যা কিছু করেছি তার নির্দেশেই হয়েছে ।

এসব বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (ইউএলও) ডাঃ আবুল খায়ের মোঃ আনিসুর রহমান জানান আমরা খামারিদের কাছ থেকে ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করিনি।তারা নিজেরাই টাকা উত্তোলন করেছে।

বার্তা বাজার/জে আই