ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা বেগম ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য নুরজাহান সহ চারজনকে গত রোজ শুক্রবার ( ৮ই সেপ্টেম্বর)রাতে কালীগঞ্জ উপজেলাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশ। তাদের সাথে অন্যরা হল রুহানি আক্তার ও আজিম মন্ডল।

ভিন্ন ভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে যে এই দুই ইউপি সদস্য দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মধুচক্রের মূল হোতা হিসাবে কাজ করে আসছে। জাহানারা বেগম নলডাঙ্গা ইউনিয়ন থেকে ৩বার মহিলা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং নুরজাহান বেগম ২বার মহারাজপুর ইউনিয়ন থেকে মহিলা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগেও এই ২জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও ভিন্নভাবে ধরাছোঁয়ার ভাইরে ছিল। জাহানারা বেগম ইউপি সদস্য হওয়ার সূত্র ধরে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যান। বাড়িতে যেয়ে মানুষের অভাবের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন নারীদের প্রলবণ দেখিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে লাগান। নুরজাহান এর বাড়ি মহারাজপুর ইউনিয়নের কুলফাডাঙ্গা গ্রামে। সে বিভিন্ন বাড়িতে কোরআন শিক্ষা দেয়ার নামে ঘুরে বেড়ান এবং কুরআন শিক্ষা দেয়। যার কারনে এলাকায় তার ব্যাপক সুনাম আছে। কিন্তু এর আড়ালে অসহায় নারীদের ফুসলিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন।

ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে গ্রেফতারের সময় তাদের নিকট থেকে ৫৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জের নারী-পুরুষের একটি চক্র বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে বাসাতে নিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ধারণ করে রাখে। পরে তাদেরকে ব্লাকমেইলিং করে অর্থ আদায় করে আসছিল।

বার্তা বাজার/জে আই