নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর হামিম ইসলাম (২১) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ। বুধবার সকালের ১০ টার দিকে তিস্তা নদীর কিনারায় তিস্তা রেল সেতু এলাকায় স্থানীয়রা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

গত সোমবার ৩ সেপ্টেম্বর রাত থেকে নিখোজ হোন সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবিজ উদ্দিন কসাইয়ের দ্বিতীয় ছেলে হামিম। নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর তিস্তা নদীর তিস্তা রেল সেতু এলাকা থেকে বুধবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। সরজমিনে গিয়ে নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার রাত থেকে হামিম নিখোঁজ ছিলো। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় নিহত হামিম জুয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল। সে জুয়া খেলতে গিয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে লাফ দেয় এরপর সে নিখোজ হয়। সেই ঘটনায় দুজন জুয়ারু আটক হয়।

নিহত হামিমের চাচী জানান, তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের চিহ্ন তিনি দেখেছেন। এছাড়া তার হাত বাধা ছিল এবং নাক, কান, মাথা এবং বিভিন্ন অঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। নিহতের বাবা নবজউদ্দিন বলেন সোমবার মোবাইল ফোনে আমার ছেলেকে কে বা কাহারা ডেকে নেয়। তারপর থেকে তার কোন সন্ধান পাচ্ছিলাম না। আজ বুধবার সকালে আমার ছেলের মরদেহ উদ্ধার হয়। ছেলের মৃত্যুর পিছনে যেই জড়িত থাকুক পুলিশ যেন দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসে।

স্থায়ীয় কয়েকজন জানান নিহত হামিম জুয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল সেই প্রায়ই লোকজনের টাকা মেরে আনতো, সে কারণে হয়তো তাকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে দুবৃত্তরা।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের সময় তেমন ক্ষত চিহ্ন ছিলো না, দীর্ঘ সময় পানিতে থাকায় মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

বার্তাবাজার/এম আই