মামলার জেরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় মাছের ঘের দখল করা নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরকাশেম গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে ঘের মালিক আতিকুর রহমানকে (৫৪) হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তার পরিবার।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দেশী অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ১০-১২ জন যুবক চরকাশেম গ্রামের আতিকুর রহমানের মৎস্য ঘেরের বসতঘরে হামলা চালায়। তাকে ঘর থেকে বের করে জোরপূর্বক নদীর পাড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায় বেধড়ক মারধর করে ফেলে রেখে যায়। স্বামীকে রক্ষায় স্ত্রী পারুল এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে ওই যুবকরা। আতিকুরের স্ত্রীর পারুল অভিযোগ, তার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সদর ইউনিয়নের চরকাশেম গ্রামে ২৮ একর জমিতে মাছের ঘের করে মৎস্য চাষ করছিলেন আতিকুর রহমান। সম্প্রতি সেই ঘেরে নিজেদের অংশীদার দাবি করেন স্থানীয় কামাল, রাশেদ ও ফেরদাউস। কিন্তু অংশীদার দিতে রাজি না হওয়ায় আতিকুরের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

হামলায় আহত ঘের মালিক আতিকুরের দাবি, এরআগে ১ আগস্ট রাতে কামাল, রাশেদ ও ফেরদাউসের নেতৃত্বে ১০-১১ জন যুবক আমার পাহাড়াদারকে মারধর করে মাছের ঘের লুট করে ৪-৫ লাখ টাকার মাছ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৮ আগস্ট তাদের তিনজনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার জেরে তারা আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে রাতের আধারে হামলা করে। মঙ্গলবারের ঘটনায়ও আমি আইনি সহায়তা নিবো। এবিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বার্তা বাজার/জে আই