ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

রোববার বেলা একটা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালযের মুরাদ চত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পরিবহণ চত্বর এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে খাদিজার মুক্তি দাবি করেন।

এসময় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি বলেন, “শুধু কথা বলার অপরাধে একজন শিক্ষার্থীকে ৩৬৫ দিন জেলের ভেতর থাকতে হয়। অথচ এই দেশে এত এত দুর্নীতি হয় তাদের কোনও বিচার হয় না। সত্যি বলতে এই দেশে আমাদের কোনো স্বাধীনতা নেই।”

তিনি আরও বলেন, “খাদিজাকে কারাগারে রেখে তার বাবা-মাকেও হয়রানি করা হচ্ছে। একটি রাষ্ট্রের আসলে কোথায় ভয় যে তাকে এতদিন জেলে রাখতে হয়। অবস্থা এমন যে, বর্তমান সরকারের সাথে ‘সহমত ভাই’ না বললেই আমাদের জেলে ঢুকতে হবে।”

সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া বলেন, “রাষ্ট্রের এত কীসের ভয় যে খাদিজাকে ছয় বার জামিন না মঞ্জুর করতে হল। জবাবদিহিতার এত ভয় কেন রাষ্ট্রের? এই আইনটা পুরো ক্ষমতাসীনদদের হাতে। আমরা চাই, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জামিন মঞ্জুর করা হোক।”

ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি বলেন, “আমাদের বাক স্বাধীনতা হরণ করেছে এই সরকার। বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রেণী-পেশার মানুষ এই সরকারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।”

তারা যাখন তখন মানুষকে গুম করে ফেলে। এই দেশকে বাঁচাতে এখন রাস্তায় নামতে হবে। হিটলার, এরশাদ, আইয়ুব থাকতে পারেনি। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, হাসিনা যাবে সেই পথে এরশাদ গেছে যে পথে, আইয়ুব গেছে যে পথে।”

“মডিফাই করে নির্যাতনের নামে নতুন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আনা হয়েছে। আমরা সংস্কার নয়, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বাতিল চাই। কোনও স্বৈরাচারী শাসক থাকতে পারেনি, এই শাসকও থাকতে পারবে না।”

নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজা মাহজাবিনের সঞ্চালনায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

বার্তাবাজার/এম আই