ভোর রাতে হৃদরোগ জনিত আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মা। সকালেই তার পরীক্ষা। শেষ পর্যন্ত মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে অশ্রুসজল চোখে পরীক্ষা দিলেন কুইন্টার ঘাগ্রা (২১) নামের এক আদিবাসী শিক্ষার্থী।

সে দুর্গাপুরের আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজের পরীক্ষার্থী এবং দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা ছিল।

তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী উপজেলার কলমাকান্দা লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে। বাবার নাম সিলভেস্টার ঘাগ্রা।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মেঝো ছেলে কুইন্টার ঘাগ্রার এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। আজ রবিবার ভোর ৪ টার দিকে হৃদরোগ জনিত আক্রান্ত হয়ে মারা যান মা হেলিমা ঘাগ্রা। মায়ের মরদেহ ঘরে রেখেই পরীক্ষার কেন্দ্রে এসে পরীক্ষা দেয় ছেলে কুইন্টার ঘাগ্রা। হঠাৎ মায়ের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

পরীক্ষার্থী কুইন্টার ঘাগ্রা’র বড় ভাই জাল সেং ঘাগ্রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মা। আজ ভোরে মা মারা গেছেন। আমার ছোট ভাই মায়ের মৃত দেহ বাড়িতে রেখেই পরিক্ষায় গিয়েছে। পরীক্ষা শেষ করে আবার বাড়িতে ফিরেছে। মায়ের মরদেহ সমাধি’র প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বার্তাবাজার/এম আই