কক্সবাজারের রামু রশিদ নগরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোয়াজ্জেম মোর্শেদ নামের এক সাবেক শিবির ক্যাডারের নেতৃত্বে দিন দুপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর স্বর্ণালংকার ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। ডাকাতি পরে রাস্তায় বেধড়ক পিটিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে ওই নারীর বাম হাত। তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় আহতের ভাই জুনাইদ ইসলাম বাদী হয়ে রামু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

হামলাকারী ওই এলাকার উত্তর কাহাতিয়া পাড়ার মঞ্জুর মোর্শেদের ছেলে। আহত তাসলিমা নূর শিউলী একই এলাকার প্রবাসী মাহমুদুল হকের স্ত্রী।

শনিবার (২৬ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের উত্তর কাহাতিয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সাজিদ ও ছেনোয়ারা জানায়, আহত তাসলিমা নুর শিউলী বিকেলে পথ ধরে বাড়িতে ফির ছিলেন। অতর্কিত অবস্থায় কিছু বুঝে উঠার আগেই মোয়াজ্জেম মোর্শেদ একটি লাটি নিয়ে দৌড়ে এসে সাদিয়ার উপর উপর্যপুরী হামলা চালাতে থাকে। একপর্যায়ে লাটির আঘাত সহ্য করতে না পেরে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনা স্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে রামু সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।

আহত তাসলিমা নুর শিউলী জানায়, বিকেলে সে তার চাচার বাড়ি থেকে আসার পথে মঞ্জুর মোর্শেদ ও তার দুই ছেলে মোয়াজ্জেম মোর্শেদ ও রায়হান পথ রোধ করে। এসময় মোয়াজ্জেম মোর্শেদ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাসলিমার গলায় ও হাতে থাকা স্বর্ণের চেইন সহ লকেট ও দুই হাতের চুড়ি ছিনিয়ে নেয়। তাসলিমা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে হাতে থাকা রড দিয়ে মোয়াজ্জেম মোর্শেদ এলোপাতাড়ি পিটিয়ে বাম হাতের কব্জি ভেঙ্গে দিয়ে পালিয়ে যায়।

এই বিষয়ে মোয়াজ্জেম মোর্শেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করেন এবং এই ঘটনার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবী করেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, রডের আঘাতে বাম হাতের কব্জির নিচের অংশ ভেঙ্গে দুই টুকরো হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনোয়ার জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। খোজ নিয়ে প্র‍য়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এদিকে খোজ নিয়ে জানাযায়, গত ৯ জুলাই আকস্মিক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় মঞ্জুর মোর্শেদ, মোয়াজ্জেম মোর্শেদ ও রায়হান স্থানীয় রশিদ আহমদের জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। তাসলিমার বাবা রশিদ আহমদ বাধা দিতে গেলে মোয়াজ্জেম মোর্শেদ নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে তাকেও শাররিক ভাবে লাঞ্চিত করে এবং কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পরে রামু থানার পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে রশিদকে উদ্ধার করে এবং সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

বার্তা বাজার/জে আই