১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চৈত্রকোল ইউপির সরকারি চৈত্রকোল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি (দাতব্য চিকিৎসালয়) যেন গো-শালা। আবর্জনায় ভরপুর। দীর্ঘদিন থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির তালা বদ্ধ থাকায় বারান্দায় এলাকার লোকজন খড়, খড়ি ও গরু-ছাগল বেঁধে রাখার নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রতিনিয়ত এলাকার সাধারণ গরীব রুগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

এলকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে এখানে কোন সরকারি ডাক্তার আসে না। কালে-ভদ্রে ১/২জন যারা আসেন তারা ডাক্তার নন। দু এক ঘন্টা থেকে চলে যান। তবে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানীয় সালাম নামের একজন বেসরকারি ব্যক্তি আগত সব রোগের রুগীদেরকে প্যারাসিটামল, এন্টাসিড, মেট্রো দিয়ে চিকিৎসা দিতেন।

জানা যায়, তিনিও ক্যান্সারের রুগী। মাসাধিক কাল ধরে আসেন না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজর নেই, ডাক্তার নেই, নেই কোন ষ্টাফ, ভালো কোন ঔষধ নেই, নেই সিমানা প্রাচির। এসব নানাবিধ রোগে আক্রান্ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা দাতব্য চিকিৎসালয়টি।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডাক্তারের সংকট থাকায় ফার্মাসিস্ট ও অন্যান্য কর্মচারি দিয়ে বাইরোটেশনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সীমানা প্রাচীরসহ বিল্ডিং নির্মাণ, নিয়মিত খোলা রেখে সরকারি ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া, গরীব ও সাধারণ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঔষধ সরবরাহের দাবি এলাকাবাসীর।

বার্তাবাজার/এম আই