মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ,উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন বন্ধ থাকবে মাছ ধরা। আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। এ কারণে, যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ বাস্তবায়নে সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে নৌ পুলিশের আয়োজনে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলে, মৎস ব্যবসায়ী, মৎস অধিদপ্তর, কোস্ট গার্ড ও জনপ্রতিনিধিসহ সকলের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ সাগরে মাছ ধরতে গেলে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ৫ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়। এছাড়া ক্রয়-বিক্রয় বা বরফের মাধ্যমে মজুদের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে জড়িত সকল অপরাধী ও বরফকল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে নৌ পুলিশ।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ইলিশসহ সমুদ্রের ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সাগরে মাছ আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই সময়ে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে। কলাপাড়ায় মাছ শিকারি জেলের সংখ্যা অনেক থাকলেও নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা অনুযায়ী তাদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে।

নৌ পুলিশের বরিশাল অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন বলেন, কঠোর নজরদারি আরোপ করা হয়েছে যেন কোনো জেলে ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যেতে না পারে। এ সকল নৌ পুলিশ স্টেশন সমূহের কাছে সকল ফিশিং বোট ও ট্রলারের তথ্য রয়েছে এবং এই ট্রলারগুলো কোথায় অবস্থান করছে সেদিকেও দৃষ্টি রাখবে নৌ পুলিশ।

বার্তা বাজার/জে আই