৭১ এর ৭ মার্চ যেন ডাকে বীর বাঙালি অস্ত্র হাতে বাঙলাকে মুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষনকেই নিষিদ্ধ করা হয় তারই সোনার বাঙলায়। কলঙ্কিত এই অধ্যায় ১৯৭৫ সালের। ‘মাইক’ চলচিত্রে ১৯৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত সময়ের সেসব বাস্তবতা-ই তুলে ধরা হয়েছে।

দেশজুড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শিশুতোষ এই চলচিত্রটির উদ্ধোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পরই শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে গুরুদাসপুরের ‘আনন্দ সিনেপ্লেক্সে’ পূর্ণদৈঘ্য ছায়াছবি ‘মাইকে’র উদ্ধোধন করেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস।

‘মাইক’ চলচিত্র উপভোগের পর সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ৭ মার্চে বঙ্গন্ধুর দেওয়া ভাষণে উজ্জীবিত হয়েই বাঙালি জাতি দেশমাতাকে মুক্ত করতে প্রাণোৎসর্গ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে শিশুদেরও ভূমিকাও স্বরণীয়। অথচ আপন ভূমিতে বাঙালি জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে ষড়যন্ত্রকারীরা। সেসময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিষিদ্ধ করে, জাতির সম্মুখে ভুল ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়। মূলত সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই ‘মাইক’ চলচিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ‘মাইকে’র শব্দে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ছড়িয়ে পরুক সারা বাংলায়। তিনি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের ‘মাইক’ সিনেমাটি দেখার আহŸান জানান।

বঙ্গবন্ধুর ভাষনকে উপজিব্য করে সরকারী অনুদানে শিশুতোষ চলচিত্র ‘মাইক’ নির্মীত হয়েছে। এফ এম শাহীন চলচিত্রটির প্রযোজক ও পরিচালক। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্র নায়ক ফেরদৌস আহম্মেদ ও নায়িকা তানভীর সুইটি।
এরআগে গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজারের ‘আনন্দ সিনেপ্লেক্সে’ ফিতা কেটে প্রেক্ষাগৃহে বসে ‘মাইক’ উপভোগ করেন সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবনী রায়, গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা.মনোয়ারুজ্জামান প্রমূখ।

চলচিত্রটির দর্শক শিক্ষক জালাল উদ্দিন শুক্তি ‘মাইক’ দেখার পর অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা পরবর্তী সময়ের ভয়াবহ পরিস্থিতি উঠে এসেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা পারেনি। সেসব কথাই এই ছায়াছবিতে প্রকাশ পেয়েছে। চলচ্চিত্রটি তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দেবে।

আনন্দ সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান প্রেক্ষাগৃহে এসে সিনেমাটি দেখার আহব্বান জানিয়ে বলেন, শোকাবহ আগষ্টে চলচিত্রটি মুক্তির মাধ্যমে বাঙালি জাতীর পিতার প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিশেষ ছাড়ে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক এই চলচিত্রটি দেখানোর ঘোষণা দেন তিনি।

বার্তা বাজার/জে আই